সবুজ মাঠের ৯০ মিনিটের লড়াইতে রোনাল্ডো এবং মেসি কিন্তু ঘোষিত শত্রু। তবে রোনাল্ডো যেভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে একাই জুভেন্টাসকে নিয়ে এলেন তা দেখে মেসিও স্বীকার করলেন তিনি একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। এলএমটেন বলেছেন, ‘রোনাল্ডো যা খেলেছে তা অভাবনীয়। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর পারফরম্যান্সকে স্যালুট করতেই হবে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারানো সহজ নয়। সেই দলের বিরুদ্ধে তিন গোল করল রোনাল্ডো। জুভেন্টাস এবং রোনাল্ডোর জন্য সত্যিই ম্যাজিকাল নাইট।’
শেষ আটে দেখা হতে পারে জুভেন্টাস–বার্সেলোনার । সেই আবার রোনাল্ডো–মেসি দ্বৈরথ হওয়ার সম্ভাবনা। মেসির কথায়, ‘যে কোনও প্রতিপক্ষকেই সম্মান করি। যেমন ধরুন অ্যাজাক্স। তরুণ ফুটবলারে ভর্তি। কোনও দলকে ভয় পায় না। তাই কাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তা নিয়ে ভাবি না। কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকি।’ লিঁওর বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্স নিয়ে মেসির মত, ‘প্রথম থেকেই ম্যাচে আমাদের আধিপত্য ছিল। ২–১ হওয়ার পর একটু চাপ তৈরি হয়েছিল। তারপর ম্যাচটা আমরা ধরে নিয়েছিলাম। ৩–১ হওয়ার পর প্রতিপক্ষ আর ফিরে আসতে পারেনি।’
মঙ্গলবার তুরিনে আতলেতিকো দে মাদ্রিদের বিরুদ্ধে রোনাল্ডো ঝলমলে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। আর বুধবার রাতে লিয়ঁকে ৫-১ হারানোর পথে বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে মেসি নিজে করলেন জোড়া গোল। আর জেরার পিকে ও উসমান দেম্বেলে-কে দিয়ে করালেন আরও দু’টি গোল। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেসি ও রোনাল্ডো দুই বিখ্যাত ফুটবলারের এই দ্বৈরথে কেবল ফুটবলের আকর্ষণই বাড়ছে না। তারই সঙ্গে সমৃদ্ধ হচ্ছে আক্রমণাত্মক ফুটবলও।
দু’জনের তফাৎ এটাই লিয়ো মেসির কাছে ট্রফি জয়টাই মোক্ষ। তাই অনেক সময় তিনি পেনাল্টি মারতে দেন সতীর্থকে। গোলের পরে যিনি পাস বাড়িয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠেন। অন্য দিকে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাছে পাখির চোখ হল নিজে গোল করা। যে কারণে, গোল না হলে রোনাল্ডোকে সব সময় মাঠে শান্ত মেজাজে দেখা যায় না। দুই সেরা ফুটবলারের এই দ্বৈরথে মেসি সব সময়েই শ্রদ্ধাশীল প্রতিপক্ষ সম্পর্কে। যার পরিচয় তিনি দিয়েছেন দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে। মেসির মতে, আতলেতিকো দে মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ‘হ্যাটট্রিক’ অসাধারণ কৃতিত্ব। পাশাপাশি, নিজের দল বার্সেলোনার সাফল্য প্রসঙ্গে এল এম টেনের ধারণা, খেতাব জিততে গেলে আরও অনেক কঠিন ম্যাচ জিততে হবে বার্সেলোনাকে।