আসন্ন লোকসভা ভোটে যে মোদী বিরোধী হাওয়া বইবে তুমুল ভাবে, তা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পেরেছিলেন স্বয়ং মোদী। তাই আগেভাগেই নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। তাই তাঁর আমলে শুরু হয়েও গাফিলতির কারণে যে সব প্রকল্প আটকে আছে তা নিয়ে জনরোষ আটকাতে তিনি মাস তিনেক আগে বলেছিলেন আর ৫ মাস পেলেই সব কিছু শেষ করতে পারবেন তিনি। অর্থাৎ ঘুরিয়ে তাঁকেই ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন প্রকল্প আটকেই বা আছে কেন?
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে প্রকল্প আটকে থাকার জেরে খরচও বেড়েছে যথেষ্ট। প্রকল্পে গতি আনতে বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিব ও রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করতেন মোদী। এতে শতাংশের বিচারে ঘোষিত প্রকল্পের চেয়ে আটকে থাকা প্রকল্প কমেছে। সংখ্যার বিচারে নয়। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম তা নিয়ে তোপ দেগেছেন। ইউপিএ আমলে প্রকল্পে বড় বাধা ছিল জমি অধিগ্রহণ ও পরিবেশ ছাড়পত্র। মোদীর আমলেও তা পুরো কাটেনি।
এখনও স্মার্ট সিটি ও ১,৪৩৩টি আটকে থাকা প্রকল্প কাঁটা কেন্দ্রের। তাই আরও পাঁচ বছরের কথা বলতে হচ্ছে মোদীকে। কেন্দ্রের তথ্যই বলছে ৩৬০টি পরিকাঠামো প্রকল্প দেরিতে চলছে এর জেরে কেন্দ্রের বাড়তি খরচ ৩.২ লক্ষ কোটি টাকা। দেশে সংখ্যায় বেড়েছে আটকে থাকা প্রকল্প। ২০১৪ সালের মার্চে যা ছিল ৭৪৯টি ২০১৮ সালের নভেম্বরে তা হয়েছে ১,৪৪৩টি। মোদী ১০০টি স্মার্ট সিটির ঘোষণা করলেও, পাঁচ বছরে শেষ হয়নি একটিও। মানুষের জন্যে কাজ না করার ফলে তীব্র অসন্তোষ, রাফাল দুর্নীতি ইত্যাদি তো ছিলই তার ওপরে যুক্ত হল প্রকল্প আটকে থাকার মত অভিযোগ। মোদী সত্যিই ব্যাকফুটেই।