সকলের যাবতীয় প্রত্যাশায় জল ঢেলে দিয়ে সম্প্রতি কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন না প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া। তবে তাতে চিন্তামুক্ত তো হতে পারছেনই না, বরং সেটাই আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। এর কারণ, কোনও একটি আসনে প্রার্থী হিসাবে লড়াই করলে প্রিয়াঙ্কা অনেকটাই সেই আসনেই আটকে থাকতেন প্রচারে। কিন্তু এখন যেহেতু তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না, তাই অনেক বেশি সময় ধরে গোটা দেশে প্রচার করবেন।
বস্তুত প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে কংগ্রেসও এটাই চাইছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকেই প্রিয়াঙ্কাকে প্রচারে আসার জন্য বিভিন্ন প্রদেশ কংগ্রেস ইউনিটগুলি লাগাতার চাপ বাড়াচ্ছে। কংগ্রেসের নির্বাচনী সংগঠনে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব তাঁর উপরে থাকলেও প্রিয়াঙ্কাই বস্তুত হতে চলেছেন কংগ্রেসের দেশজুড়ে প্রধান তারকা প্রচারক। অন্যদিকে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক সমীকরণ হঠাৎ অন্যদিকে বাঁক নিচ্ছে। মায়াবতীর অতি কংগ্রেস বিরোধী মনোভাবে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস এবার মায়াবতীকেই ধাক্কা দিতে তৎপর।
বিগত দুবছরে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে উল্কার মতো উঠে আসা নতুন তরুণ দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজানের ভীম আর্মির সঙ্গে সখ্য স্থাপন করতে উদ্যত হয়েছে কংগ্রেস। চন্দ্রশেখর আজাদও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বারাণসী কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রার্থী হতে চান। তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। মিরাটের জেল হাসপাতালে তিনি বন্দী। গতকালই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি আজাদকে জানিয়েছেন, দলিত স্বার্থরক্ষার লড়াইয়ে কংগ্রেসের সমর্থন আছে।
দলিত সম্প্রদায়ের যুবশক্তি হিসেবে ভীম আর্মি আত্মপ্রকাশ করেছে। তরুণ দলিত নেতা হিসেবে চন্দ্রশেখরের জনপ্রিয়তা এতই বাড়ছে যে মায়াবতীর দলের ভোটব্যাঙ্কে তিনি যে বড় ভাগ বসাতে পারেন, সে জল্পনা তুঙ্গে। বিশেষ করে এবার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কেন্দ্রগুলিতে যদি এই ভীম আর্মি প্রার্থী দেয় এবং কংগ্রেস তাদের সমর্থন করে, তাহলে মায়াবতীর ভোটব্যাঙ্কে যে বিভাজন হবেই, এ কথা জোর দিয়েই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এলাংশ।