তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গোটা বাংলার মানুষের সুবিধা-অসুবিধার দিকে তীক্ষ্ণ নজর থাকে তাঁর। তাই মমতার কাছে কেউ কোনও আবেদন করলে তা রাখার চেষ্টা করেন তিনি। ব্যতিক্রম হল না এবারেও। অন্যান্য দফতরগুলির সমপদে আসীন কর্মীদের সমতুল বেতনের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন এইসব ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা রাজ্যের সাড়ে তিন হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের সঙ্গে হাওড়া জেলার ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মরত ১৫৭ জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের বেতন সাড়ে সাত হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দশ হাজার টাকা করা হল।
পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সোসাইটির হাওড়া জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর ফৌজদার জানান স্বাস্থ্য, পরিকল্পনা, পিএইচই, মিড-ডে মিল, কন্যাশ্রী ইত্যাদি দফতরের ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা যে হারে বেতন পান তাঁদের বেতন সেই সমতুল হারে করার জন্য তাঁরা গত জানুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই মুখ্যমন্ত্রীর বদান্যতায় পঞ্চায়েত অ্যান্ড রুরাল ডেভলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে গত ৯ মার্চ তাঁদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক নির্দেশিকা জারি করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা খুবই খুশি বলে তিনি জানান।
২০০৭-০৮ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ ও কম্পিউটারে ডিপ্লোমা আছে এইরকম প্রার্থীদের পঞ্চায়েত স্তরে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে শুধুমাত্র কমিশনের ভিত্তিতে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের অন্তর্গত ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে নিয়োগ করা হয়। চুক্তিভিত্তিক এইসব কর্মীদের ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে সমস্ত খরচের হিসাব তাঁদের কম্পিউটারে নথিভূক্ত করতে হয়। তখন তাঁরা এক একটি তথ্য বা ডেটা কম্পিউটারে তোলার জন্য মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ পয়সা পেতেন। বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর সর্বপ্রথম এইসব ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের কথা ভেবে ২০১৫ সালে এই পদে আসীন সমস্ত কর্মীদের মাসিক সাড়ে তিন হাজার টাকা পারিশ্রমিকের পাশাপাশি ইনসেন্টিভ চালু করা হয়। এরপর ২০১৬ সালে এইসব কর্মীদের ইনসেন্টিভ তুলে দিয়ে পারিশ্রমিক এক লাফে সাড়ে সাত হাজার টাকা করা হয়। ইতিমধ্যে এই কর্মীদের পদের নাম পরিবর্তন করে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের পরিবর্তে তাঁদেরকে ভিলেজ লেভেল এন্টারপ্রেনর (ভিএলই) করা হয়।