ভারত সফর শেষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ খেলতে ১৪ মার্চ আরব আমিরশাহিতে পৌঁছাবে অস্ট্রেলিয়া। সেখানেই অস্ট্রেলিয়া–শিবিরে যোগ দিতে পারেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ১৮ মার্চ আইপিএলের প্রস্তুতি–শিবির শুরু করবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। ওয়ার্নার ও স্মিথ দুজনকেই নিজ নিজ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রস্তুতি–শিবিরে যোগ দিতে হবে। ফলে তিন দিনের বেশি অস্ট্রেলিয়া শিবিরে থাকার সুযোগ নেই এই দুই ক্রিকেটারের। কিছুদিন আগে এই দুই ক্রিকেটারেরই কনুইয়ে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। হায়দ্রাবাদের টিমে স্টিভ স্মিথকে নিয়ে চিন্তার বিষয় রয়েছে। তবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, সুস্থ হয়ে শিবিরে যোগ দেবেন ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং মনে করছেন, বিশ্বকাপে স্মিথ ও ওয়ার্নারের কাজ ততটা সহজ হবে না তাঁদেরকে কঠিন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হবে। তবে পন্টিংয়ের মতে, রান করাই হবে তাঁদের জবাব দেওয়ার সেরা রাস্তা। তবে দুজনকেই সতর্ক করে দিয়েছেন পন্টিং। তিনি মনে করছেন, “দলের বাকি সদস্যরা স্মিথ ও ওয়ার্নারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে কিনা, কিংবা ওরা কতটা ফিট, সেটা বড় ব্যাপার নয়। নির্বাসন কাটিয়ে ওরা বিশ্বকাপে ফিরছে। ওদের পিঠ চাপড়ানোর আশা করা উচিত নয়”। পন্টিং মনে করছেন, বিদ্বেষ নিয়েই স্মিথ ও ওয়ার্নারকে আবার বাইশ গজে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তিনি মনে করেন, “পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ওরা দারুণভাবে তৈরি। স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এটা ধরে নিতেই হবে, সবথেকে খারাপ জিনিস ওদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমি যদি ওদের জায়গায় হতাম, নিজেকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এটাকেই কাজে লাগাতাম। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য রান করাই ওদের কাছে সেরা উপায়। ওরা যদি রান করতে শুরু করে, অস্ট্রেলিয়া যদি জিততে থাকে, পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে যাবে। আর ওরা যদি রান করতে না পারে, অস্ট্রেলিয়া যদি হারে, কাজটা খুবই কঠিন হয়ে যাবে”।