সামনেই দোল আর রাজ্য রাজনীতির ছোঁয়া এই দোলের বাজারেও। লালের চাহিদা কিছুটা থাকলেও গেরুয়া আবিরের বাজার ম্লান৷ বাজারে দাপট দেখাচ্ছে কেবল সবুজ আবির। এবছর বেশ অনেকদিন আগে থেকেই আবির তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। দোলের সময়ে গোলাপি আবিরের বাজার থাকে চড়া কিন্তু যেহেতু ভোট সামনে তাই আবিরের মার্কেটে চাহিদা আছে সবুজ ও লাল আবিরের।
চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবার তিন রকমের আবির তৈরিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন আবির প্রস্তুতকারকেরা। দোলের ঠিক পরেই ভোট, আর ভোট গ্রহণের পর ফলাফল মে মাসের শেষে। তাই প্রস্তুতি চরমে। তাই শহর ও শহরতলির কারখানাগুলিতে সাজ সাজ রব।
বসন্তযাপন হলেও রাজনীতির কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতকারকরা আবির উৎপাদন বাড়াচ্ছেন। কারন আবিরে যাতে টান না পরে। বাজারে বস্তা বস্তা বিকোচ্ছে সবুজ আবির। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন ‘দিদি-ম্যানিয়া’য় দেদার বিকোচ্ছে সবুজ আবির। ভোটে জয় নিশ্চিত জেনে আগেভাগেই সমর্থকরা সবুজ আবির মজুত করে রাখছেন।
কলকাতার রংমহল্লা হিসেবে পরিচিত জানবাজারের এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, “আবির বিক্রি যদি জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে হয় তবে দিদি তাতে এগিয়ে কারণ দিন প্রায় ৭০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে সবুজ আবির”। নিউমার্কেটের একজন আবির বিক্রেতা সাহেব সাউ জানালেন, “গেরুয়া আবির তুলেছিলাম। কিন্তু কেউ কিনছে না, এ সপ্তাহে ৫০০ বস্তা সবুজ আবিরের অর্ডার পেয়েছি। গত বছরে এমন কান্ড দেখিনি”। দোল আর রাজনীতি মিলিয়ে আবিরের বাজার সরগরম প্রস্তুতকারকরা তৈরি এক ঢিলে দুই পাখি ঘায়েল করার জন্য।