পুলওয়ামার জঙ্গী হামলার পর গোটা দেশই যখন শোকে মুহ্যমান, তখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা গেছে ‘জোশ’-এর কথা। বালাকোটে বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের পরেও প্রকাশ্যে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধের জিগির তুলেছে গেরুয়া শিবির। ফলে বিজেপি যে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাই চাইছে, আগেই তা স্পষ্ট হয়ে গেছিল। আর এবার জানা গেল, বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র আমদানির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। অর্থাৎ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে ক্রমশ অস্ত্রের ভান্ডারও বাড়িয়ে যাচ্ছিলেন মোদী।
সোমবার স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিপ্রি প্রকাশ করেছে ২০১৪ থেকে ২০১৮ মধ্যে বিভিন্ন দেশের অস্ত্র আমদানি-রপ্তানির তালিকা। সেখানেই উঠে এসেছে ভারতের নাম। জানা গেছে, ২০১৪ থেকে ২০১৮-র মধ্যে বিশ্বে মোট অস্ত্র লেনদেনের সাড়ে নয় শতাংশই করেছে ভারত। ১২ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি আরব ও ভারতের পর অস্ত্র আমদানির তালিকায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিশর, অস্ট্রেলিয়া ও আলজিরিয়া। ৪.২ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করে চিনের স্থান ষষ্ঠ। তবে অস্ত্র আমদানির ব্যাপারে ভারতের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ২.৭ শতাংশ করে আমদানি তালিকায় ১১ নম্বরে নাম রয়েছে পাকিস্তানের।
সিপ্রির দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৪-১৮-র মধ্যে ভারত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে রাশিয়ার থেকে। মোট আমদানি করা অস্ত্রের ৫৮ শতাংশই কেনা হয়েছে রাশিয়ার থেকে। এই সময়ে আমেরিকা, ফ্রান্স ও ইজরায়েলের থেকেও অস্ত্র আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। যা দেখে কুটনৈতিক মহলের একাংশের মত, খুব ভেবেচিন্তেই পুলওয়ামা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধের জিগির তুলেছে বিজেপি। আসলে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আমদানির পিছনে মোদী সরকারের মূল লক্ষ্যই ছিল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় তার ব্যবহার করা।