কিছু মুখ প্রত্যাশিত ছিল। বেশ কিছু মুখ আবার অপ্রত্যাশিতও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় আছে ২৫ জন পুরনো যোদ্ধার নাম। ১৭ জন নতুন মুখ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তারকা প্রার্থী। সুপরিকল্পিত ভাবেই তাঁদের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত করেছেন মমতা। রেখেছেন ১৭ জন মহিলা প্রার্থীকে।
তারকা প্রার্থীদের অধিকাংশই রাজনীতির ময়দানে নতুন। দু, একজনের অবশ্য অভিজ্ঞতা আছে দিল্লীর রাজনীতিতে। আগের মতোই ঘাটাল কেন্দ্র থেকে লড়বেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। নায়ক প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করবেন তাঁরই দুই অনস্ক্রিন নায়িকা। যাদবপুর থেকে টলিউড নায়িকা মিমি চক্রবর্তী এবং বসিরহাট কেন্দ্র থেকে আরেক তারকা নুসরত জাহান। বামেদের বরাবরের শক্তিশালী কেন্দ্র যাদবপুরে কঠিন লড়াই তৃণমূলের। আর সেকথা মাথায় রেখেই এবার এই কেন্দ্রে অন্যরকম সমীকরণ তৈরি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। স্পর্শকাতর কেন্দ্র বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিশ আলি লড়ছেন না তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মমতা। এই কেন্দ্রে কে প্রার্থী হন তা নিয়ে আগ্রহ ছিল। মমতা নাম ঘোষণার পর জানা গেল, বসিরহাটে প্রার্থী হচ্ছেন আরেক টলিউড অভিনেত্রী নুসরত জাহান। এছাড়া আগেরবারের দুই তারকা সাংসদ মুনমুন সেন এবং শতাব্দী রায় ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শতাব্দী বীরভূম কেন্দ্র থেকেই লড়বেন। কেন্দ্র বদলেছে মুনমুন সেনের। তিনি বাঁকুড়ার বদলে এবার লড়বেন আসানসোল কেন্দ্র থেকে।
কৃষ্ণনগরের দুবারের সাংসদ অভিনেতা তাপস পালকে এবার প্রার্থী করছে না তৃণমূল। তাছাড়া বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তথা মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায় নিজে থেকেই ভোটে দাঁড়াতে চাননি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, ২০১৯-এর ভোট অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা আলাদা। এখানে লড়াইয়ের সমীকরণ অন্যরকম। আর তাই প্রার্থী নির্বাচনও খুব ভাবনাচিন্তার সঙ্গেই করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কারণ এ রাজ্যে তাঁর টার্গেট বিয়াল্লিশে-বিয়াল্লিশ।
