সদ্য রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন প্রিয়াংকা গান্ধী৷ প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে যোগদান ইতিমধ্যেই মোদীকে অনেকটা ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে৷ এবার মোদীকে আরও চাপে ফেলতে মোদীর গড় গুজরাট থেকেই প্রথম রাজনৈতিক ভাষণ দেবেন প্রিয়াঙ্কা৷
প্রথম দিনই কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, কৃষক ইস্যু নিয়ে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক। প্রথম ভাষণেই মোদীর যাবতীয় ব্যর্থতা জনগণের সামনে আনলেন তিনি৷ মোদী যে কতটা অপারগ দেশ চালাতে, তাঁর আমলে দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা যে কতটা খারাপ হয়েছে, কর্মসংস্থানের পারদ কতটা নিম্নমুখী তার চিত্র ফুটিয়ে তোলেন তিনি৷
মোদী জমানার পাঁচ বছরে কৃষকদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ফসলের দাম পাচ্ছে না। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই ইস্যুতে মোদী সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি হিংসা ছড়ানো নিয়েও বক্তব্য রাখেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, ‘‘যেদিকেই তাকান দেখতে পাবেন, গণপিটুনি, হত্যা চলছে। এ এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে আপনাদেরই। আর এই যুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়ে কিছু কম নয়। এই দেশ গড়েছেন কৃষক, শ্রমিকরা। আপনারাই পারেন এই দেশকে রক্ষা করতে”৷
এই বৈঠক শেষেই প্রিয়ঙ্কা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক নানা ইস্যুতে আক্রমণ করেন প্রিয়ঙ্কা। পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় আসার সময় মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কালো টাকা উদ্ধার করে গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতি বছর দু’কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রিয়ঙ্কা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কোথায় গেল সেই ১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি। কেনই বা পাঁচ বছরেও চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ হল না”? সব মিলিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইতে যে তিনি এতটুকুও জায়গা ছেড়ে দেবেন না, তা স্পষ্ট করে দিলেন প্রিয়াঙ্কা৷ প্রিয়াঙ্কার এই সভার পর মোদী যে অারও ব্যাকফুটে তা বলাই বাহুল্য৷