গত রবিবারই দেশজুরে লোকসভা ভোট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রকাশ করেছে নির্বাচনী নির্ঘন্ট। এবং তারপরেই প্রচারের ঢাকে কাঠি দিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তৈরি একের পর এক স্ট্র্যাটেজিও। যার মধ্যে একটি হল মোদী মিডিয়াকে বয়কটের সিদ্ধান্ত। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সরাসরি মোদী ঘনিষ্ঠ মিডিয়াকে বয়কটের ডাক দিলেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদব। দেশের বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বিহারের বিরোধী দলনেতার বার্তা, বিজেপি পোষিত সংবাদমাধ্যমে যাবেন না এবং কোনও রকম ধ্বংসাত্মক প্রচারে অংশ নেবেন না।
স্বাভাবিকভাবেই এমন মন্তব্যের পর তেজস্বীকে পাল্টা আক্রমণের পথে নেমেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তেজস্বী কংগ্রেসের আশ্রয় নিয়ে চলেছেন। আর সকলেই জানে সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করতে কংগ্রেস সিদ্ধহস্ত। যদিও বিজেপির দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন লালু-পুত্র। গেরুয়া শিবিরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ তিনি। আর তাই বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্যে কার্যত লিখিত বার্তা পাঠিয়েছেন তেজস্বী।
তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএসপি প্রধান মায়াবতীর মতো নেতানেত্রীদের উদ্দেশ্যে লিখিত বার্তা পাঠানো হয়েছে। তালিকায় আছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও। চিঠিতে তেজস্বী লিখেছেন, টেলিভিশন মিডিয়ার একটি অংশ যে বিজেপির হয়ে কাজ করছে তা এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে।
তেজস্বীর দাবি, সুস্থ বিতর্কে সবাই নিজের কথা বলার সুযোগ পান। কিন্তু কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে সেই সুযোগ নেই। সংবাদমাধ্যমের এই মূল্যবোধের অবক্ষয় নিয়ে প্রবীণ সাংবাদিকদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তাই শীঘ্রই মোদীর গুণগান করা মিডিয়াকে বয়কট করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, বাবা লালুপ্রসাদ যাদবের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও তেজস্বীর পোস্টটিকে রিটুইট করা হয়েছে। অন্যদিকে, তেজস্বীর বার্তা পেয়ে ইতিমধ্যেই দেশের কয়েকটি বিরোধী দল মোদী ঘনিষ্ঠ মিডিয়াকে বয়কট করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বলে খবর।