যে ক্লাব এতদিন বিশ্বের দরবারে তাঁকে সেরার সেরা মর্যাদা পেতে সহায়তা করেছে, যে ক্লাবে খেলার দরুণ তাঁর সংগ্রহে এতগুলো ব্যালন ডি’ অর রয়েছে সেই ক্লাব ছেড়ে তিনি গেছেন জুভেন্তাসে। তাঁকে জুভেন্তাসে আনার পিছনে বড় কারণ ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্য পাওয়া। স্বপ্ন আর বাস্তবের দ্বন্দ্ব শুরু টুর্নামেন্ট নক আউটে পৌঁছতেই। সিআর সেভেন সেই ক্লাবে প্রথম মরসুমেই বড় চ্যালেঞ্জের সামনে।
পর্তুগিজ তারকা নিজে বিশ্বাস রাখছেন। জুভেন্তাস টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রোনাল্দো তাতিয়েছেন টিমের সতীর্থ ও জুভে সমর্থকদের। তাঁর কথায়, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই রাতগুলোই দুর্দান্ত। একটা দারুণ ম্যাচ খেলার জন্য আমাদের টিম আত্মবিশ্বাসী। আমি নিজেও। আমি সমর্থকদের বলব, ইতিবাচক ভাবুন। বিশ্বাস রাখুন। কামব্যাকের জন্য তৈরি থাকুন।’ এখনও পর্যন্ত মরসুমের সেরা কামব্যাক দেখিয়েছে আয়াখস ও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। যারা ঘরের মাঠে হেরেও শেষ আটে চলে গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজিকে উড়িয়ে।
জুভে কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি জানেন, এই ম্যাচ তাঁর কেরিয়ারের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। জুভের পরবর্তী কোচ হিসেবে তুরিনে একদিন রটেছে পেপ গুয়ার্দিওলার নাম, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কোচ গুয়ার্দিওলা উড়িয়ে দিয়েছেন, জুভের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা। তারপরেই সোমবারের নতুন জল্পনা মরসুম শেষেই আলেগ্রিকে সরিয়ে জুভের কোচ হবেন জিদান।
এই পরিস্থিতিতে রোনাল্ডোই তাঁর মূল অস্ত্র। আতলেতির বিরুদ্ধে নামার আগের দিন রোনাল্ডোর মন্তব্য, “আমরা প্রথম লেগে ০-২ হেরে যাব ভাবিনি। কিন্তু এ বার যে কোনও ফল হতে পারে। ঘরের মাঠে, আমাদের সমর্থকদের সামনে আমরা দারুণ জবাব দিতে তৈরি”।
মঙ্গলবার রাতে ‘ডু-অর-ডাই’ পরিস্থিতিতে রোনাল্দোকেই দরকার জুভেন্তাসের। প্রথম লেগের ০-২ হার কাটিয়ে উঠতে। উল্টো দিকে, নিজেকে প্রমাণের জন্য এ রকম বড় মঞ্চ তো বেশি পাবেন না রোনাল্দো। গত পাঁচ বছরে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। দিয়েগো সিমিয়নের টিমের কড়া ডিফেন্স তছনছ করে তুরিনের সাদা-কালো জার্সিকে কি রোনাল্দো পৌঁছে দিতে পারবেন শেষ আটে?