আজ ১২ মার্চ। ১৯৩০ সালে এই আজকের দিনেই গুজরাট থেকে ডান্ডি অভিযান শুরু করেছিলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী, যা দেখে বুক কেঁপে উঠেছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের। আজ এই ঐতিহাসিক দিনেই ডান্ডি অভিযানের সাক্ষী থাকা গুজরাটে বসছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। সূত্রের খবর, গান্ধীজি এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে সামনে রেখেই এদিন রাজনৈতিক বার্তা দেবে কংগ্রেস।
বিজেপিকে রুখতে কৌশল নির্ধারণে আজ উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেন কংগ্রেসের সদ্য সাধারণ সম্পাদক হওয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা।
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে খোদ মোদীর রাজ্যে কংগ্রেসের এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, মোদীকে উৎখাত করতে খোদ মোদীর গড়েই রাজনৈতিক কৌশল তৈরি করা- দেশবাসীর কাছে এ এক নয়া বার্তা দেওয়ার চেষ্টা কংগ্রেসের। প্রায় ৫৮ বছর পর গুজরাটকেই বাছা হয়েছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের জন্য।
রাজনীতিকদের আরও পর্যবেক্ষণ, ক্ষমতায় আসার পর গান্ধী এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে কার্যত ‘হাইজ্যাক’ করে বিভিন্ন প্রচারে কাজে লাগিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। গান্ধীজির ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী মহাসমরোহে পালন করছে মোদী সরকার। এমনকি, বহু টাকা ব্যয় করে বিশ্বের সুউচ্চ বল্লভভাই প্যাটেলে মূর্তি বানিয়ে মোদী সকলকে তাক লাগিয়ে দিতে চেয়েছেন। সেই সময় গান্ধী এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে সামনে রেখে রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাওয়াটা অবশ্যই অর্থবহ।
গুজরাটের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজীব সতভের কথায়, ‘১৯৬১ সালের পর কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি বসছে গুজরাটে। পরাধীন ভারতে আজকের দিনে ‘লবণ সত্যাগ্রহ’ আন্দোলন শুরু করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীজির দেখানো পথ ধরেই ভারত গণতন্ত্র বাঁচাতে নয়া স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করবে কংগ্রেস।’