রবিবার ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হয়।পর দিন অর্থাৎ সোমবারই জরুরি বৈঠকে বসেন ডিজিসিএ-র কর্তারা। কারণ ভারতীয় দুই বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ এবং স্পাইসজেটও বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান চালায়। তাই যাত্রী নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সেইকারণে এবার ভারতীয় এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানগুলোর ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ পাইলট এবং কো-পাইলটই একমাত্র এই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান চালাতে পারবেন, ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে সমস্ত ভারতীয় বিমান সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশ।
ভারতে বর্তমানে জেট এয়ারওয়েজ এবং স্পাইসজেটই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান চালায়। জেট এয়ারওয়েজ বোয়িং-এর থেকে ২২৫টি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান নেওয়ার চুক্তি করেছে। তার মধ্যে অনেকগুলো জেট এয়ারএয়েজের হাতে এসে পৌঁছে গিয়েছে। আপাতত পাঁচটি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান চালায় জেট। পাঁচটির কোনওটাই আপাতত চালাবে না বলে সোমবারই বিবৃতিতে জানিয়েছে জেট। স্পাইসজেটের সঙ্গে বোয়িং-এর ২০৫টি বিমানের চুক্তি হয়েছে। যার মধ্যে ১৫৫টি বিমান ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের। বর্তমানে স্পাইসজেটের ১৩টি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান চলাচল করে। সেই বিমানগুলোর ক্ষেত্রে তারা কোনও পদক্ষেপ করবে কি না, স্পাইসজেট এখনও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, যদি স্পাইসজেট এবং জেট এয়ারওয়েজকে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান চালাতে হয়, তাহলে ন্যূনতম ১০০০ ঘণ্টা বিমার ওড়ানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনও পাইলটকেই চালানোর দায়িত্ব দিতে হবে। সঙ্গে যিনি কো-পাইলট থাকবেন, তাঁর ন্যূনতম ৫০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যা যা প্রয়োজনীয় গাইডলাইন রয়েছে, সেগুলো সবই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে বিমান সংস্থাগুলোকে। কোনওরকম গোলযোগ ধরা পড়লে সেটাকে অপ্রয়োজনীয় না ভেবে তৎক্ষণাৎ যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ডিজিসিএ ওই নির্দেশিকাতে জানিয়েছে, ‘‘ডিজিসিএ বিষয়গুলোর উপর নজর রাখবে। দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং বোয়িং-এর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টিতে আরও জোরালো কোনও পদক্ষেপও করা হতে পারে’’। গতকাল রাত ১২টা থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।