বাংলার গুড় এবার বিশ্বের বাজারে রপ্তানি করার জন্য উদ্যোগ নিল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর। বিদেশের বাজার ধরতে গুণগত মানের উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও উন্নত প্যাকেজিংয়ের প্রয়োজন। সেটা করতে পারলেই বিদেশের বাজার ধরার সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় উৎপাদিত গুড়ের। বিদেশের বাজার ধরতে পারলে লাভবান হবে এদেশের উৎপাদনকারীরা। সরকারি রাজস্বের পরিমাণও বাড়বে। ইংল্যান্ড, আমেরিকায় উন্নতমানের গুড় থেকে চকোলেট-সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী উৎপাদিত হয়। সেখানে গুড়ের ভাল চাহিদা রয়েছে।
জেলার গুড় উৎপাদকদের প্রশিক্ষণ, সচেতনতা ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে জেলা শিল্প কেন্দ্র। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে বিনিয়োগের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম। বিভিন্ন উৎপাদিত সামগ্রী বিদেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে। গুড়ও রপ্তানি করে বাড়তি আয়ের সুযোগ রয়েছে। উৎপাদকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে রপ্তানিতে”। বিদেশের বাজার ধরতে গুণগত মানের উন্নয়ন এবং প্যাকেজিং করাও জরুরি।
সংরক্ষণ, প্যাকেজিং ও রপ্তানির খুঁটিনাটি বিষয়েও পাঠ দেওয়া হচ্ছে উৎপাদনকারীদের। এছাড়া আখ থেকে কিভাবে বেশি পরিমাণ রস নিষ্কাশিত করা যায় এবং গুড়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয়েও উৎপাদকদের জানানো হয়েছে। জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ কর জানান, “কেতুগ্রাম-২ ব্লকের চরসুজাপুরে গুড় উৎপাদক বা কারখানাগুলিকে নিয়ে ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছে। সেই ক্লাস্টারে এসে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণও দিয়েছেন। কোয়ালিটি অফ প্রোডাক্ট অর্থাৎ আরও উন্নতমানের গুড় কীভাবে তৈরি করতে হবে তা শেখানো হবে”।