রবিবার গোটা দেশের লোকসভা ভোটের জন্য নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশের পাশাপাশি, সিকিম, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও অরুণাচল- এই চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিনও ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ তবে জম্মু-কাশ্মীরে যে এখনই ভোট হচ্ছে না সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কমিশন৷ আর কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় সরব মায়াবতী থেকে মেহেবুবা মুফতি৷ উপত্যকায় বিধানসভা ভোট না হওয়ার জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ওমর আবদুল্লাও।
লোকসভা ভোট ঘোষণায় এত দেরি হচ্ছে কেন? কমিশনের কাছে এই প্রশ্ন তুলেছিল গোটা বিরোধী শিবিরই৷ তাদের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিলান্যাসের হিড়িকেই থমকে ছিল ভোট ঘোষণা। অর্থাৎ বিজেপিকে ফায়দা দিতেই কমিশনের এই পদক্ষেপ বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের৷ এবার উপত্যকায় বিধানসভা ভোট না করার জন্য নিন্দায় মুখর বিজেপি বিরোধীরা।
রবিবার দেশের লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরে ভোট হচ্ছে না জানতে পেরেই প্রথমেই কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী৷ ভোট না হওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি৷ টুইটে তিনি লেখেন, লোকসভার সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটকে অস্বীকার করা হয়েছে৷ যা মোদী সরকারের কাশ্মির নীতির ব্যর্থতার ইঙ্গিত। নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত পারদর্শী উভয় ভোট এক সঙ্গে করার জন্য। কেন্দ্রের যুক্তি খামতিভরা ও বিজেপি-র শিশুসূলভ অজুহাত মাত্র৷
বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়াতেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে৷ প্রায় মাস ছয়েক অতিক্রান্ত৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর দ্বারা নির্বাচিত সরকারের দবি উঠছে ওই উপত্যকাজুড়ে৷ ভোট ঘোষণার পরপরই টুইট করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি৷ তিনি লেখেন, এই গণতন্ত্র জনগণকে সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয় না৷ কেন্দ্র সময় চুরি করছে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ঠেকিয়ে রাখার জন্য৷
প্রায় একই সুর ওমর আবদুল্লাহের গলাতেও৷ মোদীকে বিঁধে তাঁর টুইট, ৫৬ ইঞ্চির ছাতি ফেল করেছে৷ প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান, জঙ্গী ও হুরিয়ত নেতাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন৷ শাবাস মোদী৷ একই কথা বলেছেন ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাও৷ বিধানসভা ভোট না হওয়াকে মোদী সরকারের ব্যর্থতা বলেই দাবি করেছেন তিনি৷ মোদ্দা কথা, সীমান্তে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বিলম্ব হওয়ায় একে একে সুর চড়াচ্ছে দেশের সকল বিরোধীরাই।