অপরাধমূলক কাজ, চোরাচালান ঠেকাতে সমুদ্র উপকূলবর্তী ও নদী সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে জলপথ থানা। জলপথ ব্যবহার করে যাতে কেউ কোনো গোলমাল না পাকাতে পারে এবং জঙ্গী অনুপ্রবেশ রুখতে এই পদক্ষেপ নিল রাজ্য। কোন কোন জেলায় এই থানাগুলি হবে তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নদী সংলগ্ন এলাকাতেই এই থানা হবে। পুলিশকর্মীরা থাকবেন এই থানায়। কোনো চুরি, ডাকাতি, চোরাচালান আটকানো থেকে নদীপথে সর্বদা নজরদারি চালাবেন তাঁরা। হলদিয়া থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৬০কিমি জলপথে কোথাও নজরদারির ব্যবস্থা নেই। অনায়াসেই জলপথ এবং রাতের অন্ধকার ব্যবহার করে নিষিদ্ধ মাদক থেকে বনজ সম্পদ, চোরাশিকার থেকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সব কিছুই হচ্ছে। এমনকি মাঝে মাঝে চোরাচালানি দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষও হচ্ছে। সেসব কিছু রুখতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে জলমার্গ বিকাশ যোজনা চালু করায় অনেক পণ্যবাহী জাহাজ আসছে। সেখানে কোনোরকম দুষ্কৃতিরা হামলা চালাতে না পারে সেই বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
হুগলি, হাওড়া, নদীয়া-সহ বিভিন্ন জেলা দিয়ে নদী বয়ে গেছে। ওইসব এলাকার পুলিশ কমিশনাররা বৈঠক করেছেন। এক জেলা অন্য জেলার বিরুদ্ধে যাতে অভিযোগ না আনতে পারে সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। কোথায় কোথায় এই থানা হবে তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তাব জমা পড়ে গেছে।