শনিবার সন্ধেয় পেন্ডুলামের মত দুলছিল লাল-হলুদ সমর্থকদের আশা, আবেগ। দূরন্ত খেলার পরেও ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান হল না। কিন্তু তা সত্বেও ফুটবলারদের লড়াইয়ে সন্তুষ্ট ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেহান্দ্রো। তিনি চেষ্টা করছেন নিজেকে স্বাভাবিক রাখার। খেতাবের কাছে পৌঁছেও ভাঙাচোরা হতাশা নিয়ে ফিরে এসেও ভেঙে পড়েননি। হাসি মুখে আড়াল করেছেন আইলীগ না পাবার কষ্ট। চেন্নাই ২০ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেখানে সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৪২ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে খেতাব হাতছাড়া করার যন্ত্রণা কিছুতেই যেন ভুলতে পারছেন না স্প্যানিশ কোচ।
স্বপ্নভঙ্গের রাতেও কোচ উচ্ছ্বসিত তাঁর ফুটবলারদের নিয়ে। বললেন, ‘‘ওদের জন্য গর্বিত। এই মরসুমে অসাধারণ খেলেছে সকলে। চোট-আঘাত বারবার সমস্যায় ফেলেছে আমাদের। সেগুলো কাটিয়ে উঠেই লড়াই করেছি।’’ লাল-হলুদ কোচের জয় হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় বক্তব্য, ‘‘ফুটবলে এ রকম হতেই পারে। তবে চ্যাম্পিয়ন হলে দারুণ আনন্দ পেতাম”।
কলকাতা লিগ চলাকালীন ইস্টবেঙ্গল যোগ দেন আলেহান্দ্রো। কলকাতা লিগের পরে সরকারি ভাবে ইস্টবেঙ্গলের কোচিং শুরু করেন তিনি। দুটো ম্যাচে জয়ের পর হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলকে যখন জেতার দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে, তখনই নাটকীয় প্রত্যাবর্তন জবি জাস্টিনদের। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দু’টো ডার্বিতেই দুরন্ত জয়ের পরে ফের লাল-হলুদ সমর্থকেরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
ফুটবল বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, ঘরের মাঠে ড্র-ই ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ জিততে না পারার প্রধান কারণ। আলেহান্দ্রো বলেছেন, ‘‘খেতাব হাতছাড়া হওয়ার কারণ কোনও এক ম্যাচে হার নয়। যে দল আমাদের চেয়ে বেশি পয়েন্ট পেয়েছে, তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমরাও এ বার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য ছিলাম।’’ তবে সুপার কাপের ভাবনাও শুরু করে দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ। তিনি জানান, ‘‘সোমবার অনুশীলনের পরে দিন দশেক বিশ্রাম নেব। তার পরে সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু করব।’’