৪২টি আসনে ভোট করতে সাত দফা কেন? বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ওয়াকিবহাল মহলে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে এভাবে নির্বাচনকে নজিরবিহীন আখ্যা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব বারবার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য ছিল, বাংলায় এক দফায় ভোট করালে চলবে না। নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশের পর দেখা গেল, গেরুয়া শিবিরের দাবিকেই মান্যতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে গণতন্ত্র নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের মতে, বিজেপির প্রভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে কমিশন।
এছাড়াও এক দফায় ২ টো আসনে ভোট আবার দ্বিতীয় দফায় ৩ টি আসনে ভোট হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভোট অনায়াসে এক দফায় মিটিয়ে ফেলা যেত। তাছাড়া, উত্তর প্রদেশের মতো সবচেয়ে বড় রাজ্যের ৮০টি আসনে যেখানে সাত দফায় ভোট হচ্ছে, সেখানে বাংলায় (৪২ আসন) এর প্রায় অর্ধেক আসনে ভোট করাতেও ৭ দফা নেওয়া হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে।
এমনকী কেরালার ২০ আসন, রাজস্থানের ২৫, গুজরাতের ২৬, তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনেও ভোটগ্রহণ হবে এক দফায়। সেখানে ৪২ আসনের বাংলা কী দোষ করল? এখানে ভোট ৭ দফায় কেন? গেরুয়া শিবিরকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই সাত দফায় ভোটের আয়োজন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে কোনও লোকসভা ভোটেই বাংলায় এত দীর্ঘ সময় ধরে ভোট হয়নি। ২০০৯ সালে বাংলায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল তিন দফায়। গত নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৪ সালে পাঁচ দফায় ভোট হয়েছিল। এবারই প্রথম বাংলায় ৭ দফায় লোকসভা নির্বাচন হবে।
