আগামী ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে গোটা দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। রবিবার সারা দেশের সঙ্গে ঘোষণা হল বাংলার নির্বাচনী নির্ঘন্টও। রবিবার দিল্লীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেন, এ রাজ্যের ৪২টি আসনে মোট ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হবে।
রাজ্যে ভোট শুরু ১১ এপ্রিল ২ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে। আর ১৯ মে ভোট শেষ ৯ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে। বাংলায় প্রথম দফায় ভোট ১১ এপ্রিল। ওদিন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং রায়গঞ্জ এই তিন কেন্দ্রে। ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফায় ৫টি কেন্দ্র, বালুরঘাট, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদে ভোট। চতুর্থ দফার ভোট ২৯ এপ্রিল। ওই দিন বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর এবং বীরভূমে ভোট।
৬ মে পঞ্চম দফায় ৭টি কেন্দ্র বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি এবং আরামবাগে ভোট। ষষ্ঠদফায় ভোট ১২ মে। ওই দিন তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে ভোট। এবং ১৯ মে সপ্তম তথা শেষ দফায় যে ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সেগুলি হল দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম বাংলায় ৭ দফায় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে কোনও লোকসভা ভোটেই বাংলায় এত দীর্ঘ সময় ধরে ভোট হয়নি। ২০০৯ সালে বাংলায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল তিন দফায়। গত নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৪ সালে পাঁচ দফায় ভোট হয়েছিল। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব বারবার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য ছিল, বাংলায় এক দফায় ভোট করালে চলবে না। নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশের পর দেখা গেল, গেরুয়া শিবিরের দাবিকেই মান্যতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।