জম্মুর বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড হামলার জন্য বছর পনেরোর ইয়াসির জাভেদ ভাটকে নিয়োগ করেছিল হিজবুল মুজাহিদিন। ক্লাস নাইনের ওই কিশোর পুলিশের জেরার মুখে জানায়, তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল মুজাহিদিন। নিরাপত্তাবাহিনীর নজর এড়াতে একটি টিফিন বক্সের মধ্যে গ্রেনেডটি ভরে নিয়েছিল সে। গ্রেনেডটি যাতে কারোর নজরেও না আসে তাই তার উপর দেওয়া হয়েছিল ভাতের আস্তরণ। গ্রেনেড হামলার কোনো প্রশিক্ষণ নেওয়া ছিলনা তাঁর। ইউটিউব ঘেঁটে নিজেই শিখেছিল গ্রেনেড ছোঁড়ার কৌশল।
বৃহস্পতিবার সকালে জম্মুর বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মহম্মদ শারিক নামে এক বাসিন্দা এছাড়াও হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ রিয়াজ নামের এক ব্যক্তির। আহত হন প্রায় ৩২ জন। গোয়েন্দা সূত্রে যখন জানা যায় হামলার পিছনে এক কিশোরের হাত রয়েছে তখনই এলাকাজুড়ে শুরু হয় নাকা তল্লাশি। হামলার এক ঘণ্টার মধ্যেই জম্মু থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নাগরোটা চেকপয়েন্টে হামলাকারী কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিশোরের বাড়ি উত্তর কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে। হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গীদের নির্দেশেই এই হামলা চালিয়েছে সে। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে সকলের নজর এড়িয়ে কীভাবে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার রাস্তা গ্রেনেড নিয়ে এল ওই কিশোর। যখন গত বুধবার থেকেই হামলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল গোয়েন্দা দফতর। বুধবার কুলগাঁও থেকে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে চেপে বৃহস্পতিবার সকালে জম্মুতে আসে ওই কিশোর। ওই গাড়ির চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, হিজবুলের কুলগামের জেলা কমান্ডার ফারুক আহমেদ ভাট প্রথমে মুজাম্মেল নামে এক শ্রমিককে দায়িত্ব দেন। কিন্তু মুজাম্মেল এই বিস্ফোরণ ঘটাতে রাজি না হওয়ায় এই হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইয়াসিনকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এই হামলা হয়েছে বলে ধারণা।