ভোটের বাদ্যি বেজে গেছে দেশে। একেবারে দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দয়ে লড়তে ক্রমশই মজবুত হচ্ছে বিরোধী জোট। মোদীকে হঠাতে রাজ্যে রাজ্যে জোট বাঁধছে আঞ্চলিক দলগুলিও। এমন চরম সংকটের মুহূর্তে আরও কিছুটা চিন্তা বাড়ল গেরুয়া শিবিরের। জানা গেছে, বিজেপির সঙ্গে শরিক আইপিএফটির জোট হচ্ছে না ত্রিপুরায়। খোদ আইপিএফটির তরফেই একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে দেশের প্রতিটি প্রান্তেই চলছে রাজনৈতিক দলগুলির ঘর গোছানোর পালা। ব্যতিক্রম নয় ত্রিপুরাও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক বিজেপি এবং শরিক আইপিএফটি আলাদা ভাবে চলছে। বিধানসভা নির্বাচন বিজেপি ও আইপিএফটি একসঙ্গে লড়াই করলেও, প্রাথমিকভাবে একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে আইপিএফটি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৩ মার্চ আইপিএফটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে ত্রিপুরা থেকে দুটি লোকসভা আসনেই পৃথকভাবে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আইপিএফটি জানিয়েছে ৫ জানুয়ারি রাজ্যে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেই সময় তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনটি আইপিএফটিকে দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল স্মারকলিপিও।
তবে শাহ সেই দাবি সম্পর্কে নিজের মতামত জানাবেন বলে আশ্বাস দিলেও এখনও সেই দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বরং জানা গেছে, বিজেপি দুটি আসনেই প্রার্থী দেবে। আইপিএফটির তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। তাই জোটের পথে না হেঁটে দুটি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে আইপিএফটি। দলের তরফে ৫ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে দলের সভাপতি এনসি দেববর্মাকেই। অর্থাৎ বিধানসভার জোটসঙ্গী বিজেপিকে ধাক্কা দিতে লোকসভায় একাই ময়দানে নামছে আইপিএফটি।