ইমরানের ‘নতুন পাকিস্তান’কে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘নতুন অ্যাকশন’ নেওয়া উচিত। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই মন্তব্য করেন ভারতের বিদেশ সচিব রবীশ কুমার। তিনি বলেন, ‘নতুন ভাবনায়, নতুন দেশ হিসাবে দাবি করছে পাকিস্তান। নিজেদের মাটিতে জঙ্গি উত্খাত করতে এ বার নতুন পদক্ষেপ করুক তারা’। পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারত যে ইমরানের কথায় এখনই বিশ্বাস করছে না, সেকথাই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলওয়ামা হামলার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে খোদ মাসুদ আজহারের জঙ্গি সংগঠন জইশ। বিদেশ সচিব বলেন, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অস্বীকার করছে পাকিস্তান। এ থেকেই স্পষ্ট, জইশকে মদত দিচ্ছে ইমরান খানের সরকার। পাকিস্তান জইশের মুখপাত্র হয়ে উঠেছে বলেও তোপ দাগেন রবীশ কুমার। সংগঠনের মাথা মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত’ করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা মিলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফেও। ফ্রান্স, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও কড়া পদক্ষেপ করতে আগ্রহী বলে জানা যাচ্ছে।
ইমরান জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন বটে, কিন্তু তাতে বিশ্বাস করছেন না অনেকেই। এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তান বলেছে, সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা রীতিমতো ঘাঁটি বানিয়ে বসে আছে পাকিস্তানে। পর্যবেক্ষকদের মতে, কোনও বড় ধরনের জঙ্গী হানার পরে আন্তর্জাতিক মহল থেকে পাকিস্তানের ওপরে চাপ সৃষ্টি হয়। আমেরিকা, ব্রিটেন ও অন্যান্য শক্তিশালী দেশ পাকিস্তানকে অনুরোধ করে যাতে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তখন পাকিস্তান লোকদেখানো ধরপাকড়ও করে। কিন্তু কিছুদিন পরেই ধৃতরা ছাড়া পেয়ে যায়। ভারতের সংসদ ভবন এবং মুম্বইয়ের জঙ্গী হানার পর এমন ঘটনাই ঘটেছিল।
পুলওয়ামাতে জঙ্গি হানার পরেও ইমরান একই কথা বলছেন। সেজন্য এদিন বিদেশ মন্ত্রক থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মন্তব্য উল্লেখ করে রবীশ কুমার বলেন, ‘তারা বলেছে সেদেশে জইশ ই মহম্মদ নামে কোন সংগঠনের অস্তিত্বই নেই। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই মন্তব্য করে সেদেশের সেনাকর্তারা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা পুলওয়ামা কাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজি নন’।