জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করে আইনজীবীদের আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক আইনজীবী আছেন আইনটা বোঝেন। কিন্তু অতটা ভাল ইংরাজি জানেন না। তাঁদের ব্যাপারটাও আমাদের ভাবা উচিত। কারণ আমাদের তো সবাই বাংলা মিডিয়ামে পড়েন। তাই ঝরঝরে ইংরাজি বলতে পারেন না’।
শনিবার সার্কিট বেঞ্চের এই অনুষ্ঠানে নাম না করে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘১৯৮৮-তে সিদ্ধান্ত হয়। ২০১২-তে শিলান্যাস করি। আরও আগে হয়ে যেতে পারত সার্কিট বেঞ্চ। কিন্তু হয়নি। অনেকটা সময় লেগে গেল।‘ এদিনের অনুষ্ঠানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু হবে সোমবার ১১ মার্চ।
জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে থাকবে একটা ডিভিশন বেঞ্চ আর দুটি সিঙ্গল বেঞ্চ। ক্যালকাটা হাইকোর্টের অ্যাক্টিং প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার, বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খান, অরিন্দম মুখার্জী, মধুমিতা মিত্র ১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রথম দফায় সেখানে বসবেন। পরবর্তীতে কোন বিচারপতিদের সেখানে পাঠানো হবে সেটা ঠিক করবে কলকাতা হাইকোর্ট।
মমতা এদিন বলেন, ‘এর আগে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ছিল। কিন্তু সেই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টগুলি বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। এখন রাজ্যের খরচায় কোর্টগুলি চলছে। এর মধ্যে ৫৫টি আদালত মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট’। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ‘একজন ল’ইয়ার একসঙ্গে এত কেস নিয়ে ফেলেন যে সামলাতে পারেন না। ভাবুন তো যাঁরা আসেন, তাঁরা কত কষ্ট করে পয়সা জোগাড় করেন। আমরা বলি কোর্টে ছুঁলে আঠারো ঘা। কত মানুষের ঘটিবাটি বিক্রি করে দিতে হয় মামলা লড়তে’। এই সার্কিট বেঞ্চ জলপাইগুড়ির মুকুটে নতুন পালক বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার, রাজ্যপাল কেশরিনাথ ত্রিপাঠী ও মন্ত্রী মলয় ঘটক উপস্থিত ছিলেন।
