পুলিশের ছত্রিশ ঘা না খেয়ে, কোনোরকম অপরাধ না করেও আপনি খেতে পারবেন ‘জেলের ভাত’। কয়েদিদের মতো জীবনযাপন করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন আপনি, তাও আবার দিল্লীত তিহাড় জেলে। জেলের পোশাকে, কয়েদিদের সঙ্গে রাত কাটানো, জেলের খাবার খেয়ে দিনযাপন এসব করা যাবে বাস্তবে।
এই জেলে আজমল কাসভ ছিলেন, আসারাম বাপু আছে, সেই জেলই কয়েক দিনের জন্য আপনার ঠিকানা হতে পারে। এমনিতেই খুন-ধর্ষণ, স্মাগলিং, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে যুক্ত দেশের হাই প্রোফাইল কুখ্যাত অপরাধীদের এই জেলে রাখার রেওয়াজ আছে। ৪০০ একর এলাকা জুড়ে তৈরি ১৫ হাজারেরও বেশি অপরাধী বহনকারী এই জেল ভারতের মধ্যে বৃহত্তম। এ বার এই জেলে আপনারও থাকার ব্যবস্থা করে দিতে এগিয়ে এসেছে কেরালা সরকার। কেরালা রাজ্যের জেল দফতর এমনই এক ‘ফিলস লাইক জেল’ নামক প্রোজেক্টে জেলের জীবনযাপনের সঙ্গেই পরিচয় করাতে চাইছে।
দফতর সূত্রে খবর, ভারতের এই বৃহত্তম জেল ঘুরে দেখার জন্য প্রতি দিন দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর আবেদন জমা পড়ে সেই অনুরোধ খতিয়ে দেখেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিহাড় জেলের মধ্যেই অন্যান্য কুঠুরির মতো আরও ৫-৬টি কুঠুরি তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে অ্যাটাচড বাথরুমও। এর মধ্যেই গোটা জেলচত্বর ঘুরে দেখারও সুযোগ মিলবে অতিথিদের। এই প্রোজেক্টটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকে অনুমতি এলেই প্রবেশমূল্য ধার্য করা হবে।
কিছু অর্থের বিনিময়েই এই জেলে ঢোকার ছাড়পত্র মিলবে। তার পর লক আপে ঢুকিয়ে তালাবন্ধ করে রাখা হবে অতিথিকে। জেলের বাকি কয়েদিদের মতোই থাকতে হবে। মেঝেতে শুতে হবে, খেতে হবে জেলের খাবার। বিকেলে বাইরে বেরোনো যাবে। বেড়িয়ে টুকটাক শ্রমও দান করতে হবে, যেমনটা সশ্রম কারাদণ্ডে হয়ে থাকে।
তবে এই পরিকল্পনার জন্য জেলের অন্য বন্দিদের থেকে ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা নেই। অতিথিদের কুঠুরিগুলোর সঙ্গে অপরাধীদের কুঠুরির সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ থাকবে না।