কথায় বলে, ভোট বড় বালাই। আর একেবারে দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তাই ভোটের মুখে এবার সংখ্যালঘুদের মনের কথা জানতে চেয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি। তা-ও একদম সরকারের মেয়াদ শেষের সময়।
আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য ছিল, সংখ্যালঘুদের মতামত দলের ইস্তেহারে শামিল করা। কিন্তু সেই কাজটি করতে গিয়েও এমন সব প্রশ্ন উঠে এল, মোদী জমানায় যার কোনও সমাধান হয়নি। যেমন, সংখ্যালঘুদের কেন সংশয়ের চোখে দেখা হয়? ইতিহাসের বিকৃতি কেন ঘটছে? কিংবা শিক্ষায় গৈরিকীকরণ? এমনই আরও নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত পদ্মশিবির।
প্রসঙ্গত, অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, ভোটের আগে দশ কোটি লোকের কাছে পৌঁছবেন তাঁরা। সেই মতো তৈরি হয়েছিল কর্মসূচি। যার নাম রাখা হয়েছিল, ‘ভারত কে মন কি বাত, মোদী কে সাথ’। সেই সূত্র ধরেই গতকাল কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী থেবড়চন্দ্র গেহলট সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, পার্সিদের করা প্রশ্ন অস্বস্তিই বাড়াল মোদী অ্যান্ড কোম্পানির।
অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাজিদ রাশিদি যেমন প্রশ্ন করলেন, ‘দাড়ি-টুপি থাকলে কেন সংশয়ের চোখে দেখা হয়? সংশয় যে দিন দূর হবে, সংখ্যালঘুরা মূলস্রোতে ফিরতে
পারবেন। সংখ্যালঘুদের শিক্ষা ও হাতের কাজে আরও জোর দিতে
হবে। এখানে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি।’ আর এক সংখ্যালঘু প্রতিনিধি অনুযোগ করেছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যথেষ্ট অবদান থাকা সত্ত্বেও স্বীকৃতি জোটে না তাঁদের। দাবি উঠল সংবিধান মেনে সকলের উন্নয়নের। সবমিলিয়ে সংখ্যালঘুদের দিক থেকে ওঠা প্রশ্নগুলি আরও খানিকটা অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল গেরুয়া শিবিরের।