‘প্রধানমন্ত্রীই পাঠানকোটে আইএসআই-কে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি নিজে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে শপথ অনুষ্ঠানে ডেকেছিলেন। এমনকি পাকিস্তানে গিয়ে শরিফকে জড়িয়েও ধরেছিলেন। তাই নরেন্দ্র মোদীই আসলে পাকিস্তানের পোস্টার বয়।’ ঠিক এই ভাষাতেই বিরোধীদের প্রতি মোদীর আক্রমণের জবাব দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলা এবং বালাকোটের ঘটনার পরে জাতীয়তাবাদকে তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাকে পুঁজি করেই ভোটের আগে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচী নিচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তা নিয়ে বিরোধীরা সামান্য প্রশ্ন তুললেই মোদী তাঁদের গায়ে এঁটে দিচ্ছেন ‘পাকিস্তানের পোস্টার বয়’ তকমা। এবার তারই পাল্টা দিতে মোদীকে তাঁর কটাক্ষ, ‘আমরা তো নওয়াজ শরিফের পরিবারের বিয়েতে যাইনি। পাঠানকোটে আইএসআই-কে আমন্ত্রণ জানাইনি। যিনি করেছেন, তিনিই পাকিস্তানের পোস্টার বয়।’
আসলে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আগেই কথা সেরে রেখেছিলেন রাহুল। দলের নেতাদেরও বলেছিলেন, ‘যুদ্ধবিরতি ঢের হয়েছে। পুলওয়ামার পর কংগ্রেস চুপ থেকেছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এক নিমেষের জন্য রাজনীতি ছাড়েননি। ফের পুরনো বিষয়গুলি ফিরিয়ে এনে মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সময় এসেছে।’ আর সেই মতো সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বললেন, যে ভাবে ‘আচ্ছে দিন’, মানুষের রুজি-রোজগার, কৃষকদের ন্যায্য দাম, ব্যবসা গায়েব হয়েছে, সে ভাবেই গায়েব হল রাফাল ফাইল।
তিনি আরও বলেন, ওই ফাইলই বলছে, ‘বাইপাস সার্জারি’ করে অনিল আম্বানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাইয়ে দিতে সমঝোতা করেছেন মোদী। তাঁর প্রশ্ন, ফাইল চুরি গেলে সিএজি কীভাবে রিপোর্ট তৈরি করল? সুপ্রিম কোর্টেই বা কী দেখানো হল? এর পাল্টা দেওয়ার চেষ্টায় অরুণ জেটলি বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই ভুয়ো অভিযোগ করছেন কংগ্রেস সভাপতি।’ তবে এর জবাবে কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদ সাফ জানিয়ে দেন, ‘পুলওয়ামা পরবর্তী ঘটনাবলি থেকেই স্পষ্ট মোদী আর পাকিস্তানের মধ্যে ম্যাচ গড়াপেটা হচ্ছে।’