ভারতের করা এয়ার স্ট্রাইকের বদলা নিতে ভিতরে ভিতরে ফুঁসছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ৷ সেকারণে ভারতের বিরুদ্ধে আরও ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র কষছে তারা৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে পুলওয়ামার মতোই আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে জইশ৷ আগের মতোই এবারও টার্গেট করা হতে পারে সেনার কনভয়ে৷ ইতিমধ্যে এমনই সতর্কবার্তা পৌঁছেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে৷ যার ফলস্বরূপ চরম সতর্কতা জারি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে৷
শুধুমাত্র জঙ্গি হামলাই নয়, জৈশ, লস্কর এবং হিজবুল মুজাহিদিন এক সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনা করছে। এবং এই জঙ্গী গোষ্ঠিগুলোকে সাহায্য করছে পাক সেনাবাহিনী। এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্টও পেশ করেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এক সেনা অফিসার মেজর মির কাশিমও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেনার তরফে জঙ্গী অনুপ্রবেশে সবরকম সাহায্য করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলওয়ামার সেনা কনভয়ে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েছিল জইশ জঙ্গি আদিল৷ ৩৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মেরেছিল কনভয়ের একটি বাসে৷ শহিদ হয়েছিলেন ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ান৷ সূত্রের খবর, এবারও একই কায়দায় আরও বড় ধরনের বিস্ফোরণের প্ল্যানিং করছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনটি৷ এবার তাদের নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ, কুজিগুন্দ এলাকায়৷ বৃহস্পতিবারই জম্মু বাসস্ট্যান্ডে একটি যাত্রী বোঝাই বাসে গ্রেনেড হামলা করেছে এক হিজবুল জঙ্গী৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের, আহত ত্রিশেরও বেশি৷ ধৃত হিজবুল জঙ্গীকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা৷ এবং এই ঘটনার পরই জইশের এই গোপন ষড়যন্ত্রের খবর পান গোয়েন্দারা৷
সীমান্তের ওপারে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের ২২টি ঘাঁটি রয়েছে৷ যাদের মধ্যে ন’টি ঘাঁটি কেবল জইশের৷ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে নাশকাতা চালানোর জন্য একপ্রকার সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে তারা৷ যেকোনও সময় হতে পারে হামলা৷ শিওরে লোকসভা নির্বাচন, তার আগে এই খবর সরকারের পক্ষে যথেষ্ট আশঙ্কার বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
![ভারতে ৩-৪ দিনের মধ্যেই হামলা হবে জঙ্গীদের – গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2019/03/9acd202b-3cad-4bd4-8c89-55478c27d462.jpg)