দীর্ঘ অপেক্ষা ও অনেক লড়াইয়ের পর অবশেষে গতকাল ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন রাজানি প্রেমনাথ। জন্মসূত্রে ভারতীয় কিন্তু প্রেমনাথ বাবু নামের এক পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন তারপর থেকে পাকিস্তানেই থাকতে শুরু করেন। বিবাহ সূত্রে পাকিস্তানে থাকতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার রাজানির মতোই আরও ৪৪ জন পাকিস্তানি সংখ্যালঘুকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হল।
রাজানি জানান, “আমার স্বামী দুবাইয়ে কাজ করত এবং আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পাকিস্তানে থাকত। বিয়ের পর আমিও তাই পাকিস্তানে থাকতে শুরু করি এবং সেদেশের নাগরিকত্ব লাভ করি। প্রায় ২০ বছর আমি সেখানে ছিলাম। আমরা করাচিতে একটি মন্দিরে থাকতাম। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখে ছেলেমেয়েকে নিয়ে ২০০৪ সালে ভারতে চলে আসি এবং পুনেতে থাকতে শুরু করি। এরপর ২০০৬ সালে আমার স্বামীও এদেশে চলে আসেন। তারপর থেকেই আমরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টায় ছিলাম। শেষপর্যন্ত ২০১৬ সালে আমরা আবেদন জানাতে পারি। আর সেই আবেদনের ভিত্তিতে আজ আমি এবং আমার স্বামী ভারতের নাগরিকত্ব পেলাম। আশা করি, আমার ছেলেমেয়েরাও ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে”।
২০০৪ সালে ভারতে আসার পর লড়াই কম করতে হয়নি রাজানিকে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার স্বামী অটোমোবাইল সেক্টরে কাজ করে। পাকিস্তান থেকে ভারতে আসার পর তাঁকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এমনকি আমরা কাউকে এই ব্যাপারটি জানাতামও না। এড়িয়ে যেতাম। তবে এখন সব ঠিক হয়ে যাবে”। ১৯৫৭ সালে পুনেতে তেলগু ধোবি সম্প্রদায়ে জন্মেছিলেন রাজানি। কিন্তু ১৯৮৩ সালে বিয়ের পর করাচিতে থাকতে শুরু করেন। তাঁর মা–বাবা, এক বোন, তিন ভাই প্রত্যেকেই ভারতের নাগরিক। ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ায় তিনি খুব খুশি হয়ে বলেন, “আমি জন্মসূত্রে ভারতীয়। তাই ফের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ায় আমি খুব খুশি। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা এবং ভারত সরকার আমাদের পাশে থেকেছে”।