আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহিলাকর্মীদের বিশেষ সম্মান জানাতে প্রথম অর্ধে রেল পরিচালনার ভার তুলে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। শুধু টিকিট পরীক্ষা বা টিকিট বিক্রি নয় রেল চালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। হাওড়া, শিয়ালদহ ও শহরতলির কাউন্টারেই নয় রিজার্ভেশন কাউন্টার গুলোর দায়িত্বে রয়েছেন মহিলারা।
নারীজাতিকে সম্মান জানাতে রাষ্ট্রসংঘ ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চ প্রথম নারী দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। তারপর থেকে সারা বিশ্বে এই দিনটি পালিত হয়। মহিলারা সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের সমকক্ষ। ভারতীয় রেলও এদিনটি মহিলা কর্মীদের সামনে এনে প্রকৃত সম্মান জানাতে চায়। গতকাল বিকেলে রেলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নারী দিবসের প্রথম শিফটের দায়িত্বে থাকবেন মহিলারা। সেই মত আজ নারী দিবসে রেলের পরিচালনায় প্রমীলাবাহিনীর হাতে। আজ নারী দিবস উপলক্ষে হাওড়া স্টেশন ভবনটি ফ্যাসেড লাইটে পিংক বর্ণের হয়ে উঠবে।
আজ সব কাউন্টারে মর্নিং শিফটের দায়িত্বে মহিলা কর্মীদের রাখা হয়েছে। ভোরে কাউন্টার খুলে যাত্রীদের স্বাগত জানান মহিলা বুকিং কর্মীরা। এইকারণে সব কাউন্টারে মর্নিং শিফটের দায়িত্বে মহিলা কর্মীদেরই রেখেছে রেল। হাওড়া, শিয়ালদহের মতো বড় স্টেশনগুলির অনুসন্ধান কেন্দ্রগুলির ভারও আজ মহিলাদের হাতে। ট্রেন ছাড়ার আগে পর্যন্ত যাবতীয় তদারকি পর্বে তো বটেই, এমনকী ট্রেনে কর্তব্যরত সব কর্মীই মহিলা। রেলকর্তাদের কথায়, “মহিলা চালক ও গার্ড সংখ্যায় কম। তাই সব ট্রেনে এই ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। শিয়ালদহের মাতৃভূমি স্পেশাল ও আরও কয়েকটি ট্রেনে যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি নারীশক্তির পরিচালনায় ছাড়া হবে। ট্রেন চালাবেন মহিলা ড্রাইভার, সিগন্যাল দেবেন মহিলা পার্ক, যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করবেন মহিলা টিটিই”। এমনকী নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকছে আরপিএফের মহিলা কর্মীরা। পূর্ব রেলের তিনটি ট্রেন– শহিদ এক্সপ্রেস, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ও গণদেবতা এক্সপ্রেসেও আপাদমস্তক পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মহিলা রেলকর্মীরা।