রাঁচির জেএসসিএ স্টেডিয়ামে তখনও ম্যাচ শুরু হতে বেশ কিছুক্ষণ বাকি। হঠাৎ করেই মাঠে এল অনেকগুলো আর্মি ক্যাপ। সেনা যেমন পরে তেমনই জলপাই রঙের টুপি বিরাট, বুমরাদের হাতে তুলে দিলেন এম এস ধোনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তার আগেই ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মন জিতে ফেললেন বিরাট-জাদেজারা।
এর আগে নিহত জওয়ানদের জন্য নীরবতা পালন বা জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে কালো ব্যান্ড পরে খেলোয়াড়েরা নেমেছেন। এবার নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় ক্রিকেট-বাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে এত কালের ব্যবহৃত টুপিটাই পড়লেন কোহালি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা।
ভারতীয় বোর্ডই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেনার টুপিতে কোহালিদের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শত্রুপক্ষ বা জঙ্গিদের থেকে নিজেদের আড়াল করতে ঝোপঝাড়ের সঙ্গে মিশে থাকা যে সবুজ এবং খয়েরি রংয়ের টুপি ব্যবহার করে সেনাবাহিনী, ধোনির ঘরের মাঠে সেটাই পরেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা ।
পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে ফিঁদায়ে হামলার পর থেকে ফুঁসছে গোটা দেশ। ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যুর বদলা হিসাবে পাকিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় বায়ু সেনা। পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণণ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিয়েছে আএইএফ। ভারতীয় সেনার এমন পদক্ষেপকে সম্মান জানাতেই এদিন ভারতীয় দল এমন অভিনব উদ্যোগ নিল। আর্মি ক্যাপ পরেই এদিন টসে এলেন কোহলি। জিতলেন। তার পর বলে গেলেন, এটা স্পেশাল ক্যাপ। ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানাতেই আমাদের এমন উদ্যোগ।
২০১১ সালের নভেম্বরে ভারতীয় সেনার সাম্মানিক লেফট্যানান্ট কর্নেল পদের দায়িত্ব পেয়েছেন ধোনি। তবে পুলওয়ামা হামলার পর ধোনি কোথাও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তাই নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। রাঁচির মাঠে এটাই ধোনির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ বলে মনে করছে ভারতীয় ক্রিকেট মহল। আর ঘরের মাটে শেষ ম্যাচে নেমে ধোনির এমন উদ্যোগ সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিল। ভারতীয় দলের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আর্মি ক্যাপ পরে মাঠে নামা ও শহীদ পরিবারের হাতে ম্যাচ ফি তুলে দেওয়ার আইডিয়া আসলে ধোনির মস্তিষ্কপ্রসূত। ভারতীয় দলের এমন উদ্যোগ ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়োতে শুরু করেছে।