প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে রাফাল চুক্তির নথি চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, দেশে তামাশা চলছে। পরিস্থিতি খুব বিপজ্জনক। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে টুইট করে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে মোদী সরকারের বক্তব্য কি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
এদিনের ওই টুইটে মমতা লেখেন, ‘দেশে এখন তামাশা চলছে। খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে নথি চুরু হচ্ছে। এটা দেশের জন্য বিপজ্জনক। এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কি বলবে? যা ঘটেছে সেখানে ছুপা রুস্তমটা কে, তার যথাযথ তদন্ত চাই। ধৈর্য ধরুন, নির্বাচনেই ফায়সালা হবে’।
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা নেই৷ এই চুক্তিতে আর্থিক দুর্নীতি হয়নি। ১২৬-এর জায়গায় ৩৬টি বিমান কেনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা একেবারেই অনুচিত, রায় দেয় শীর্ষ আদালত। এছাড়া, বিমান কেনার প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা নেই । তার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাণিক্যিক পক্ষপাতিত্বের যে অভিযোগ উঠেছে তাও ভিত্তিহীন কারণ এর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, জানায় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মামলা করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, অরুণ সৌরি ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ৷ একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়, রাফাল চুক্তির সব নথি চুরি হয়ে গিয়েছে৷ সেই সংবাদপত্রের দাবিকে শুনানি চলাকালীন তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট৷ অ্যাটর্নি জেনারেল ওই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেন, তারাই রাফাল নথি চুরি করেছে৷
এরপরেই সংবাদমাধ্যমের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বাক স্বাধীনতার পক্ষে হিন্দু পাবলিশিং গ্রুপ চেয়ারম্যান এন রামের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা। যে কাণ্ডজ্ঞানহীনতার কারণে মন্ত্রকের ভেতর থেকে নথি চুরি হয়ে গেল, এবার সেই নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা।