বৃহস্পতিবার জম্মু শহরের একটি বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গীরা। বাসের মধ্যে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন প্রায় ২৮ জন। আহত ব্যক্তিদের সকলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারিদের ধারণা এই ঘটনার পিছনে স্লিপিং সেলের যোগ রয়েছে৷
গ্রেনেড হামলার স্থলটিতে তল্লাশি শুরু হয়েছে, নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ কুকুর, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হয়েছে বিস্ফোরণ স্থলে। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছে, গ্রেনেডটি বাইরে থেকে হয়েছে৷ তারপর সেটি বাসের নিচে রেখে দেওয়া হয়৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহতরা অধিকাংশ বাস চালক ও খালাসি৷ বাসে কোনও লোক ছিল কিনা তা পরিস্কার নয়৷
পুলওয়ামা হামলার ক্ষত এখনও মিলিয়ে যায়নি৷ তারই মাঝে আবারও বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড হামলা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহতরা অধিকাংশ বাস চালক ও খালাসি৷ বাসে কোনও লোক ছিল কিনা তা পরিস্কার নয়। সকাল এগারোটার পর বিকট শব্দে চমকে যান সকলে৷ প্রথমে সকলে ভাবেন টায়ার ফেটেছে৷ কিন্তু ভুল ভাঙে কিছুক্ষণ পর৷ বাসস্ট্যান্ড থেকে আর্তনাদের শব্দ শুনে ছুটে যান সকলে। সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
জম্মুর আইজিপি এম কে সিন্হা জানিয়েছেন, “গ্রেনেড মেরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷ একাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছে৷ আহতদের জম্মু মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জম্মু হাই আ্যালার্টে রয়েছে৷ বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড রয়েছে৷ গাড়িগুলির উপরেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে”। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনার পিছনে স্লিপিং সেল রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে অভিযুক্ত কোনো জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিনা সেবিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশ অভিযুক্তকে জেরা করছে।