ভোটের বিউগল বাজিয়ে যখন প্রচার কাজে নেমে পড়েছে দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল, ঠিক সে সময়ই দলের নতুন লােগো প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর নতুন লোগোটি প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইল ছবিও করে ফেলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সেই লোগোকে জনপ্রিয় করতে একগুচ্ছ নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী সাধারণের মধ্যে বিলি করার পরিকল্পনা নিল রাজ্যের শাসক দল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দেখা মিলবে নতুন লোগো সম্বলিত শাড়ি, টি শার্ট থেকে শুরু করে চায়ের কাপ পর্যন্ত হরেক জিনিস।
নির্বাচনী প্রচারে দলের প্রতীক ভোটারদের হেঁসেল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজিত পাঁজার জুড়ি মেলা ভার। কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের ভোটারদের জন্য ‘উপহারের’মোড়কে দলের প্রতীক ‘হাত’পৌঁছে দিয়ে চমক দিতেন তিনি। ভোট প্রচারে হাত প্রতীক ছাপা তিন রঙা টুপি, জামা থেকে মেয়েদের বিন্দি, এমনকি ঘড়িও বিলি করা হতো। ভোটের বাজারে তাঁর আকর্ষণীয় বক্তৃতার পাশাপাশি প্রচার সামগ্রীর ওই উদ্ভাবনী ক্ষমতার জন্য অজিতবাবুর বিশেষ কদর ছিল দলে।
পরে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিদ্রোহ করে দলত্যাগ করলেন, তখন তাঁর সঙ্গী ছিলেন অজিতবাবু। তৃণমূল কংগ্রেস গঠনে মমতার প্রধান সতীর্থ অজিতবাবু ঘাসফুল প্রতীকেও উত্তর কলকাতা থেকে নির্বাচিত হয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু ভোটের প্রচারে চিরাচরিত পথ ছেড়ে নিত্যনতুন উপায় উদ্ভাবনে তাঁর ভূমিকা আমৃত্যু একই রকম ছিল।
এবার লোকসভা ভোটে সুদৃশ্য মনিহারি সামগ্রী থেকে রোজকার ব্যবহারের নানা জিনিস বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। পোর্সেলিনের কাপ, শাড়ি থেকে শুরু করে রিস্ট ব্যান্ড, টুপি, টি-শার্ট এমনকী মোবাইল কভার বিতরণ করা হবে ভোট প্রচারে। এইসব জিনিসে শোভা পাবে তৃণমূলের নতুন লোগো। যেখানে স্লোগান, ‘তৃণমূল আমার , আপনার বাংলার’। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একদিকে দলের ডিজিটাল সৈনিকদের কাজে লাগিয়ে নতুন ধারার প্রচারের পরিকল্পনা যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনই তরুণ প্রজন্মের কাছে দলের নির্বাচনী প্রতীককে আকর্ষক করে তুলতে এইসব জিনিস আমজনতার মধ্যে বিলি করা হবে।