রাজ্যের খাদ্য দফতরের উদ্যোগে চলতি মাসেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার রেশন দোকানগুলোতে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ই-পিওএস) যন্ত্র দেবার কাজ শুরু হবে। এখন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই যন্ত্র দেওয়ার কাজ চলছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও বর্ধমান জেলায় ইতিমধ্যে সব রেশন দোকানে এই যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়া দক্ষিণের সব জেলার যন্ত্র সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। প্রায় ১৫ হাজার ১০০ যন্ত্র ওই সংস্থাটি দেবে।
রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার রেশন দোকানে যন্ত্র বসানোর জন্য রাজ্য সরকারকে কোনো খরচ করতে হচ্ছে না। প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এই প্রকল্পের জন্য খরচ চেয়েছিল রাজ্য কারণ এটি কেন্দ্রের প্রকল্প ছিল। কিন্তু কেন্দ্র এই খরচ বহন করেনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার টেন্ডার ডেকে একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই দায়িত্ব দেয়। যন্ত্রটিকে কার্যকর রাখার জন্য ইন্টারনেট সংযোগের খরচ দেবে ওই সংস্থা। যন্ত্রের সমস্যা হলে তা ঠিক করবার দায়িত্বও তাঁদের। এর বিনিময়ে ওই যন্ত্রের মাধ্যমে যে বিক্রিবাট্টা হবে তার উপর ওজনভিত্তিক কমিশন পাবে ওই সংস্থা। এখানে কেজি পিছু ১২ পয়সা করে কমিশন ধার্য করা হয়েছে।
ই-পিওএস যন্ত্র রেশন দোকানে বসে গেলে গ্রাহকদের ডিজিটাল কার্ড সোয়াইপ করতে হবে। এটা করলেই গ্রাহকের পণ্য নেওয়ার সব তথ্য খাদ্য দফতরের সার্ভারে জমা পড়ে যাবে। অনেক রাজ্যেই এই পদ্ধতি চালু করা হয়ে গেছে। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য এই পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে গোটা দেশেই।