আবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের কাছে গো-হারান হারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতার উদ্যোগে যেমন উন্নয়নের শীর্ষে বাংলা, মোদীর আমলে দূষণের শীর্ষে ভারত। মঙ্গলবার জাকার্তায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির তালিকা প্রকাশ করেছে গ্রিনপিস এবং আইকিউ এয়ারভিশ্যুয়াল। তাতে বিশ্বের দূষণ মানচিত্রে ভারতকে প্রথম স্থান দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০টি শহরের সাতটিই রয়েছে ভারতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর গুরুগ্রাম। এছাড়াও সেই তালিকায় থাকা ভারতের শহরগুলি হল— গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ, ভিওয়ারি, নয়ডা, পাটনা এবং লখনউ। প্রথম দশে থাকা অন্য শহরগুলি হল- পাকিস্তানের লাহোর ও ফয়জলাবাদ এবং চীনের হোতান। তালিকায় দিল্লী রয়েছে একাদশ স্থানে।
২০১৮ সালে দিনের ব্যস্ত সময়ে বাতাসে ভাসমান অণুকণা (পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫) কতটা রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাতাসে ভাসমান এই অণুকণা সহজেই মানুষের শরীরে ঢুকে ফুসফুসে এবং রক্তে মিশে যায়। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার গ্রিনপিসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ‘এতে আমাদের শরীরের প্রভূত ক্ষতি হয়।’ পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫-এর উপস্থিতি সব বয়সের মানুষের ফুসফুসের ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া, শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সেই রোগের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ২২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার খরচ হয়। সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্ক আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, দূষণ জনিত রোগের কারণে ভারত প্রতিবছর ৮.৫ শতাংশ জিডিপি হারায়। গ্রিনপিস এবং আইকিউ এয়ারভিশ্যুয়ালের রিপোর্ট বিশ্বব্যাঙ্কের আশঙ্কাকেই সিলমোহর দিল।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে অর্থনীতি সহ নানা বিষয়ে প্রতিবেশি দুই দেশ চীন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্মুখ সমরে দেখা যায় ভারতকে। বিভিন্ন বিষয়ে টক্কর দিলেও, দূষণ রোধে এই দুই দেশের কাছে ডাহা ফেল করেছে ভারত। ২০টি শহরের পরিসংখ্যান নিয়ে রিপোর্টে দেখানো হয়েছে ১৫টিই রয়েছে ভারতে। আর ৩০টি শহরের হিসেব ধরলে, সেখানেও ২২টি দূষিত শহর নিয়ে ভারত রয়েছে শীর্ষস্থানে। এই তালিকায় পাঁচটি শহর রয়েছে চীনে, দু’টি পাকিস্তানে এবং একটি বাংলাদেশে। ২০১৮ সালে বাতাসের গুণমান নিয়ে বিশ্বের তিন হাজার শহরের উপর সমীক্ষা করেছিল গ্রিনপিস এবং এয়ারভিশ্যুয়াল। দেখা যাচ্ছে, এই উপ মহাদেশের বাতাসই সবথেকে দূষিত।