গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে ভয়াবহ জঙ্গী হামলার পর থেকেই ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে পাকিস্তান। তবে প্রত্যুত্তর দিচ্ছে ভারতও। কিন্ত আচমকাই এবার ‘শান্তির বার্তা’ দিচ্ছে তারা। তাই নাকি পাকিস্তানের এলাকায় ভারতীয় নৌসেনার ডুবোজাহাজ ঢুকে পড়া সত্ত্বেও তাকে ছেড়ে দিয়েছে পাকিস্তান। যদিও ভারত এই দাবী সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে।
আজ পাকিস্তান দাবি করে, ভারতের একটি ডুবোজাহাজ পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল। তা ধরা পড়ে গেলেও, পাকিস্তানের সেনা ভারতের ডুবোজাহাজে নিশানা করেনি। কারণ, পাকিস্তান শান্তি চায়। পাকিস্তানি নৌসেনার দাবি, তারা তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ডুবোজাহাজটিকে পিছু হটতে বাধ্য করে। এর আগে ২০১৬-তেও পাকিস্তান একই ভাবে ভারতের একটি ডুবোজাহাজকে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢোকার সময় ধরে ফেলে আটকে দিয়েছিল বলে পাক-নৌসেনার দাবি। আজকের অভিযোগ প্রমাণে পাকিস্তান একটি ভিডিয়ো ফুটেজও প্রচার করেছে। পাকিস্তানের এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুধু ডুবোজাহাজ নয়। পাক সেনা ভারতের একটি সুখোই যুদ্ধবিমান মাটিতে নামিয়েছে বলেও প্রচার করছে। তাকেও মিথ্যে প্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বায়ুসেনা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি বায়ুসেনা এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ‘আমরাম’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তা ঠেকানো হয়। সেই আমরাম মিসাইলের ভগ্নাবশেষ জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির পূর্ব দিকে মিলেছে। কোনও সুখোইয়ের ক্ষতি হয়নি।
নৌসেনা সূত্রের খবর, দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় স্করপেন সাবমেরিন পাক জলসীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা পাকিস্তানের এলাকায় ঢোকেনি। কারণ ঢুকলে পাকিস্তান যে ক্ষেপণাস্ত্র দাগবে, তা জানা কথা। নৌসেনা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারতের সমুদ্র এলাকা সুরক্ষিত রাখতে নৌসেনা মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান ভুল তথ্য ছড়িয়ে মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নৌসেনা তাতে গুরুত্ব দেয় না। নৌসেনা যেমন মোতায়েন রয়েছে, তেমনই থাকবে।