রবিবার মিনার্ভাকে হারিয়ে আই লিগের খেতাবে প্রবল ভাবে ফিরে আসা ইস্টবেঙ্গল ফিরল শহরে। ৯ মার্চ গোকুলমের বিরুদ্ধে বাইরের ম্যাচের আগে দু’দিন ফুটবলারদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে পা দিয়ে কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্দেস প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আগামী ম্যাচের জন্য আমরা ফোকাস করছি। টিমকে তৈরি থাকতে হবে সব কিছুর জন্য।’
রবিবার মিনার্ভা এফসি-কে হারিয়ে ১৯ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এখনও চেন্নাই সিটি এফসি। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে ৯ মার্চ গোকুলম এফসি-র বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ জিতলেও ইস্টবেঙ্গলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নির্ভর করবে চেন্নাইয়ের উপরে। কারণ, একই দিনে ঘরের মাঠ কোয়েম্বত্তূরে পেদ্রো মানজ়িরা খেলবেন মিনার্ভার বিরুদ্ধে। জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবেন তাঁরা। চেন্নাই যদি হারে বা ড্র করে তা হলে আই লিগ জিতবে ইস্টবেঙ্গল।
প্রবল চাপ সামলে গোকুলমের বিরুদ্ধে খেলা কতটা কঠিন? ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা অবশ্য দাবি করলেন, তাঁদের কোনও চাপ নেই। বললেন, ‘‘শেষ দু’টো ম্যাচই তো আমাদের কাছে ফাইনাল ছিল। একটা ম্যাচেও যদি পয়েন্ট নষ্ট করতাম, সব আশা শেষ হয়ে যেত। এখন আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না। আমাদের পাখির চোখ গোকলুমকে হারানো। তার পরে দেখা যাবে।’’
মিনার্ভা ম্যাচে কার্ডের জন্য খেলতে পারেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বোর্খা গোমেস। গোকুলম ম্যাচে তাঁকে অবশ্য পাওয়া যাবে। অঙ্ক কী ভাবে মিললে ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হবে, তা নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না লাল-হলুদ কোচ। বরং তিনি ওই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে টিম গোছাতে চাইছেন। জবি জাস্টিন না থাকলেও গত তিন ম্যাচে গোল পেয়েছেন এনরিকে এসকুয়েদা। যা অনেকটাই চিন্তামুক্ত করেছে আলেহান্দ্রোকে।