রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই তিনি আমূল পরিবর্তন এসেছেন বাংলায়। একদিকে যেমন বাম জমানায় ধুঁকতে থাকা শিল্পগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন তিনি, তেমনি বিদেশি লগ্নী এনে রাজ্যকে দিয়েছেন নতুন নতুন শিল্প-প্রকল্প। বাংলার সর্বত্রই তাঁর উন্নয়নের ছোঁয়া। আর্থ-সামাজিক অবস্থার মানোন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা উন্নয়ন প্রকল্পগুলির সাফল্যের খতিয়ানই এবার ‘চিঠি’ আকারে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের আগে মা-মাটি-মানুষের সঙ্গে নেত্রীর যোগসূত্রকে আরও নিবিড় করতেই এই পরিকল্পনা।
গত আট বছরের শাসনকালে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, উৎকর্ষ বাংলা, খাদ্যসাথীর মতো জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভের বিবরণের সঙ্গেই ১০০ দিনের কাজ, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প গঠন, জিডিপি বৃদ্ধিতে জাতীয় গড়কে পিছনে ফেলে বাংলার সেরা হয়ে ওঠার কাহিনীও থাকছে এই খোলা চিঠিতে। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, মিশ্র ভাষাভাষীর এ রাজ্যে শুধুমাত্র বাংলায় নয়, হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া, তেলুগু, সাঁওতালি, নেপালি, সাদ্রি, রাজবংশী এমনকি কয়েকটি অঞ্চলের জন্য ইংরেজিতেও ওই চিঠি তৈরি করছে তার। সংখ্যায় যা হবে কয়েক কোটি।
প্রসঙ্গত, সরকারি পরিষেবা প্রাপক সমস্ত উপভোক্তার কাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছতে শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি। যা পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছেন তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো এহেন চিঠি পরিষেবা প্রাপকদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহের সৃষ্টি করেছে। এবার দলের তরফে রাজ্য সরকারের সাফল্যের এই নামচা ভোটারদের কাছে সমাদৃত হবে বলেই আশা করছে মমতার দল।
তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া শহর ও গ্রামীণ জেলা, হুগলী, জঙ্গলমহলের সমস্ত জেলা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা কমিটি রাজ্য সরকারের সাফল্যের খতিয়ানকে তুলে ধরে চিঠি প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকেও এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।