আমদানি করার দরকার নেই। প্রস্রাব থেকেই তৈরি করা যাবে ইউরিয়া। এমনই অভিনব প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাডকরী। গোমূত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের মুখে শোনা গেছে এর আগে। এবার নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ‘মেয়র ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এ হেন প্রস্তাবে অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই।
এ জন্য বিমানবন্দরে ইউরিন সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছেন নীতিন গাডকরী। তিনি বলেন, ‘মূত্র সঞ্চয় করলে ভারতকে আর দেশের বাইরে থেকে মূল্যবান সার আনাতে হবে না কৃষিকাজের উন্নতির জন্য’। নতুন জিনিস আবিষ্কারের গুরুত্বের কথা বোঝাতে গিয়ে প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ থেকে বায়ো-ফুয়েল তৈরির উদাহরণ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গাডকরী বলেন, ‘বায়ো-ফুয়েল তৈরির কাজেও লাগতে পারে মানুষের প্রস্রাব। এছাড়া এটা থেকে অ্যামোনিয়া সালফেট এবং নাইট্রোজেনও সংগ্রহ করা যেতে পারে। বিমানবন্দরগুলিতে আমি যাত্রীদের প্রস্রাব সংরক্ষণ করতে বলেছি। আমরা ইউরিয়া আমদানি করি। কিন্তু, যদি আমরা গোটা দেশের প্রস্রাব সংরক্ষণ করি তাহলে আর বাইরে থেকে ইউরিয়া কিনতে হবে না। এটা এতটাই কার্যকরী এবং এর থেকে কিছুই ফেলা যায় না। তবে আমার ভাবনা অভিনব বলে অন্যরা আমার সঙ্গে সহযোগিতা করে না। এমনকী পুরসভাগুলোও সাহায্য করে না। কারণ সরকারে এমন সব মানুষ আছে, যাদের ষাঁড়ের চোখে ঠুলি লাগিয়ে ইঁদুর দৌড়ে দৌড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা এদিক-ওদিক তাকায় না।‘
কয়েক বছর আগে নিজের প্রস্রাব সংরক্ষণ করে তা দিল্লীর বাংলোর বাগানে সার হিসেবে ব্যবহার করেন বলে জানিয়ে ছিলেন গাডকরী। সেই সার তাঁর ফার্মের উৎপাদন ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়া চুলের বর্জ্য জমিয়ে অ্যামাইনো অ্যাসিড বের করার উদাহরণও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এজন্য তিরুপতি মন্দির থেকে প্রতি মাসে পাঁচ ট্রাক চুল সংগ্রহ করে তা থেকে বর্জ্য তৈরির কথাও বলেছেন গাডকরী।
