অশান্ত সময়ে তাঁকে পাশে পায়নি পাহাড়। যদিও বিপুল উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি কিন্তু পাহাড়বাসীর জন্যে কাজ করতে ভুলেই গেছেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। বরং পাহাড়ের অনেক নেতাই নেপাল থেকে এসেছেন বলে দাবি করে পাহাড়বাসীর বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। তার ফলে এখনও চলছে বিক্ষোভ। রবিবারও দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়।
গতকাল বিনয়পন্থী মোর্চার তরফে দার্জিলিং শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মোর্চার দার্জিলিং শহর কমিটির সভাপতি কমল ছেত্রী বলেন, ‘সাংসদ ক্ষমা না চাইলে আরও বড় আন্দোলন হবে।’ কালিম্পংয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে জন আন্দোলন পার্টি (জাপ)। দলের সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘সাংসদ পাহাড়বাসীদের অপমান করেছেন। ওঁকে পাহাড়ে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।’ মোর্চার কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ মিছিল হয়। ম্যালে বিক্ষোভ দেখায় পাহাড়ের স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। গোর্খা লিগের পক্ষ থেকেও সাংসদের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চান সাংসদ এই দাবি তুলেছেন জিএনএলএফের মুখপাত্র নিরজ জিম্বাও। রবিবার সন্ধে শিলিগুড়ি শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে গোর্খা আদিবাসী বিকাশ পরিষদ।
পাহাড়বাসীর জন্যে কাজ করা তো দূরের কথা, প্রায় আড়াই বছর পাহাড়ে পা-ই রাখেননি বিজেপির এই মন্ত্রী। পাহাড়ের কোন অশান্তিতেই শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেননি তিনি। তার ওপর এবার তাঁর এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফুঁসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, আমজনতা থেকে শুরু করে গোটা পাহাড়।