সুষমা স্বরাজের ভাষনের পরেই কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে জোরালো ধাক্কা দিয়েছে ওআইসি বা অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন। এটাকে মোদী সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসাবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
সুষমা স্বরাজের বক্তব্য পেশ হওয়ার পরেই দু’টি প্রস্তাব পাশ হয়েছে ওআইসি-র সভায়। একটি কাশ্মীর নিয়ে। অপরটি ভারত-পাকিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের মূল কারণ হল কাশ্মীর। ‘ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরে’ মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের পাণ্ডা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে বলা হয়েছে ‘বিচার বহির্ভূত খুন’। কাশ্মীরে ‘ভারতের সন্ত্রাস’ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, তিনি ভারতের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছেন। ভারতের যুদ্ধবিমানের এক পাইলট পাকিস্তানে বন্দি হওয়ার পরে তাঁকে ফিরিয়েও দিয়েছেন। ওআইসি আহ্বান জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এখন সংযম প্রয়োজন। সব বিতর্কের মীমাংসা হওয়া উচিত শান্তির পথে। ভারতের বায়ুসেনা যেভাবে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে আক্রমণ চালিয়েছে, তার নিন্দা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষার অধিকার আছে পাকিস্তানের।
এরপরেই বিজেপি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। কংগ্রেস মুখপাত্র মনীষ তিওয়ারি বলেন, সরকার দাবি করেছিল, ওআইসি-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ডাক পাওয়া তাদের কূটনৈতিক সাফল্য। কিন্তু সেই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ওআইসি কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানকেই সমর্থন করেছে। ভারতের তথাকথিত বর্বরতার নিন্দা করেছে। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পরেই সরকার বলেছিল, কূটনীতির পথে আন্তর্জাতিক মহল থেকে পাকিস্তানকে একঘরে করার চেষ্টা হবে। কিন্তু ওআইসি-র সভায় কাশ্মীর নিয়ে এই বক্তব্যের পর মোদী সরকার পাকিস্তানকে একঘরে করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের।
