যাত্রাটা শুরু করেছিলেন মিলানে। ইউলিয়েনন বুতেরকে হারিয়ে জিতেছিলেন প্রথম শিরোপা। এরপর পেছন ফিরে তাকাননি রজার ফেডেরার। গত পরশু দুবাইয়ে পৌঁছলেন শততম একক শিরোপার মাইলফলকে। ছেলেদের মধ্যে শুধু জিমি কোনর্সই পেরেছিলেন ১০০ বা বেশি শিরোপা জিততে। দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্তেফানোস সিতসিপাসকে ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ফেডেরারও নাম লেখালেন অভিজাত এই ক্লাবে। কোনর্সের শিরোপা ১০৯ আর ফেদেরারের ঠিক ১০০টি। এ জন্য অভিনন্দন জানাতে ভুল করেননি ৮ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী প্রাক্তন নাম্বার ওয়ান কোনর্স, ‘তিন অঙ্কের ক্লাবে স্বাগত ফেডেরার। খুব একা ছিলাম এত দিন। একজন সঙ্গী পেয়ে ভালো লাগছে।’
৬৯ মিনিটে ফাইনাল আর শততম শিরোপা জিতে ফেডেরারও উচ্ছ্বসিত। দুবাইয়ে জিতলেন রেকর্ড অষ্টম শিরোপা। এই সাফল্য তাঁর কাছে বিশেষ কিছু, ‘খুবই খুশি আমি। দুবাইয়ে অষ্টম শিরোপা যা শততম হয়ে গেছে আমার, এটা বিশেষ অর্জন।’ গত বছর বাসেলে জিতেছিলেন ৯৯তম শিরোপা। এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই স্বপ্ন দেখছিলেন শততম শিরোপার। সেটা হয়নি শেষ ১৬-তে সিতসিপাসের কাছে হারায়। গত পরশুর জয় সেই অর্থে প্রতিশোধ। তবে ফেডেরার প্রতিশোধ না ভেবে উল্টো প্রশংসা করলেন গ্রিক তরুণ সিতসিপাসের, ‘মিলানে আমার প্রথম শিরোপা জয়ের সময় ওর জন্ম হয়েছিল কি না, নিশ্চিত নই (হয়েছিল, সিতসিপাসের জন্ম ১৯৯৮ সালের আগস্টে)। ভীষণ প্রতিভাবান ও। সিতসিপাসের মতো প্রতিভাবানের সঙ্গে খেলাটা সন্তুষ্টির। যখন আমি খেলব না, ভাবব টেনিস ঠিক খেলোয়াড়দের হাতেই আছে।’
আলো ঝলমলে ক্যারিয়ারে ফেডেরারের গ্র্যান্ড স্লাম রেকর্ড ২০টি। শততম শিরোপার পথে সবচেয়ে সফল ২০০৬ সালে। ওই বছর জিতেছিলেন ১২ শিরোপা। ২০০৫ সালে ছিল ১১টি। মিলানে প্রথম শিরোপার পর শুধু ২০১৬ সালটাই খালি হাতে ফিরিয়েছিল তাঁকে। এরপর ২০১৭ সালে সাত আর গত বছর জিতেছেন চারটি। এভাবে এগোতে থাকলে কি পারবেন কোনর্সের ১০৯ শিরোপার কীর্তি পেছনে ফেলতে?