ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন এক অধ্যাপক৷ একটি দেশদ্রোহী পোস্টের অভিযোগে কর্নাটকের বিজয়পুরার বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তরুণ অধ্যাপককে সর্বসমক্ষে হাঁটু মুড়ে, হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করল গেরুয়াপন্থী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের ভাচানা পিটামাহা এলাকা৷
প্রহৃত অধ্যাপকের নাম সন্দীপ ওথার৷ তিনি ডা. পিজি হালাকাট্টি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও। সেই ভিডিওতে ভীড়ের মধ্যে কয়েকজন পুলিশকেও দেখা গেছে।
ভারত-পাক দ্বন্দ্ব নিয়ে ফেসবুকে দুটি বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন তিনি৷ প্রথম পোস্টে তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য দায়ি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার৷ এবং দ্বিতীয় পোস্টটিতে সন্দীপ ওথার আক্রমণ করেন গেরুয়াপন্থীদের৷ তিনি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সাপোর্ট করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর দুটি পোস্ট৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে পোস্ট দুটি মুছে ফেলেন অধ্যাপক।
সন্দীপ ওথারের কলেজে চড়াও হয় এবিভিপির সদস্যরা৷ জাতীয়তাবাদী স্লোগান দিতে দিতে কলেজের মধ্যে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে সেখানে পৌঁছান সন্দীপ ওথার৷ সর্বসমক্ষে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি৷ তিনি স্বীকার করেন, ফেসবুকে ওই পোস্ট দিয়ে ভুল করেছেন। এই অভিযোগে তাঁকে কলেজ থাকে বরখাস্তের দাবিও ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগের ঝড় উঠলেও কোনো এফআইআর দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।