শহীদ জওয়ানদের দেহ এসেছে পাটনা বিমানবন্দরে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভায় যেতে হবে বলে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতে পারলেন না এনডিএ-র নেতা-নেত্রীরা। এঁদের মধ্যে আছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও। রবিবার পাটনায় ঘটল এই ঘটনা।
দেশের জন্য জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারায় জঙ্গিদের গুলিতে শুক্রবার প্রাণ হারান সিআরপিএফের ইন্সপেক্টর পিন্টু কুমার সিংহ। রবিবার সকালে তাঁর মরদেহ পটনার জয়প্রকাশ নারায়ণ বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এনডিএ-র কোনও বড়, মাঝারি নেতা, নেত্রীকেই দেখা যায়নি বিমানবন্দরে। তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন, সবার আগে ভোট। শহীদ জওয়ান, দেশপ্রেম এসব পড়ে দেখা যাবে।
বেগুসরাই থেকে পটনায় ভাইয়ের মরদেহ দেখতে এসে নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের কাকা তাই আর ক্ষোভ সামলাতে পারলেন না। বলেই ফেললেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও এলেন না আমার ভাইকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।’
আসলে পাটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা। সেই জনসভায় পৌঁছনোর জন্য পটনা আর তার আশপাশের এলাকাগুলিতে ভোর থেকেই আসছে ‘সঙ্কল্প’ মিছিল। সামনে লোকসভা ভোট বলে সেই ‘সঙ্কল্পে’-তেই নিজেদের মন সঁপেছেন এনডিএ-র নেতা-নেত্রীরা। তাই শহীদ জওয়ানের দেহ বিমানবন্দরে পড়ে রইল। আর তাঁরা পৌঁছে গেলেন জনসভা ভরাতে।