মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দলের কর্মী-সমর্থকদের স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রেখেছেন আসন্ন লোকসভা ভোটে বাংলায় ৪২-এ ৪২ করার। নির্দেশ দিয়েছেন ইভিএম দুর্নীতি রোখার জন্যে। মমতার পথেই হাঁটছেন তৃণমূলের মহাসচিব, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভোটের সুচী ঘোষণার আগেই কর্মীদের কাজে নেমে পড়তে বললেন পার্থ।
শুক্রবার হরিণঘাটা ও কল্যাণী বিধানসভা ধরে বুথ ভিত্তিক কর্মিসভা করেন পার্থ। তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, তাই ভোটার লিস্ট থেকে ইভিএম, সবেতেই সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত নির্বাচনী ইস্তাহারে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার থেকে বেশি কাজ করেছেন। আমাদের সেই সব কাজ সাধারণ মানুষের কাছে বলতে হবে।’ মহাসচিব আরও বলেন, “কংগ্রেস এখানে সাইনবোর্ড হয়ে গেছে। সিপিএম–কে দূরবিন দিয়ে দেখতে হয়। বিজেপি কোনও কথা রাখেনি, মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। আমরা সব সময় মানুষের হয়ে কাজ করি। তাই সব সময় মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে”।
কবে ভোটের দিন ঘোষণা হবে সেদিকে না তাকিয়ে এখন থেকেই দলের নেতা–কর্মীদের মাঠে নেমে পড়তে বললেন তৃণমূলের মহাসচিব, মন্ত্রী পার্থ। তাঁর নির্দেশ, এলাকায় এলাকায় দেওয়ালে–দেওয়ালে তৃণমূলের প্রতীক এঁকে এখনই লিখুন ‘এই চিহ্নে ভোট দিন’। বুথে বুথে ছোট ছোট সভা করে তৃণমূল কী কী প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য নিয়েছে, তা জানান।
এর পর তিনি কর্মী নেতাদের বলেন, ‘আমি জানি আমাদের দলে কংগ্রেস থেকে অনেকেই এসেছেন, তাই তাঁদের ভাল গুণের সঙ্গে খারাপ গুণও আমাদের মধ্যে এসেছে। তাই বলছি, মমতা ব্যানার্জি ছাত্রীদের জন্য যত প্রকল্প এনেছেন, আপনারা তা অনেকেই জানেন না, আপনারা যা জানেন না, তা অন্যদের বলবেন কী করে? কংগ্রেসে যেমন ভোটের আগে পার্টি অফিস খুলে বসে, সারা বছর বন্ধ থাকে, সে রকম আমাদেরও কারও কারও অভ্যাস আছে। মনে রাখতে হবে মমতা ব্যানার্জি যেখানে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন, আপনারা তার কিছুমাত্র না করলে তাঁকে অপমান করা হয়। মনে রাখবেন মমতার রক্ত দিয়ে গড়া এই দল।
হরিণঘাটা ও কল্যাণীর এই কর্মিসভায় ছিলেন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, সাংসদ তাপস মণ্ডল, বিধায়ক নীলিমা নাগ, রমেন বিশ্বাস, গৌরীশঙ্কর দত্ত, শঙ্কর সিং, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু প্রমুখ। হরিণঘাটায় সভার দায়িত্বে ছিলেন চঞ্চল দেবনাথ, কল্যাণীর দায়িত্বে অরূপ মুখোপাধ্যায়।