দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৮ মার্চই ভোটের তারিখ ঘোষণা করে দেবে নির্বাচন কমিশন। ফলে এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় ইস্যু পুলওয়ামার জঙ্গী হামলা ও তার পরবর্তী ঘটনার প্রভাব পড়বে চলতি ভোট রাজনীতিতে। শুক্রবার এক দলীয় বৈঠকে রাজ্যের নেতা-কর্মীদের পরিষ্কার এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ রাজ্যনেতারা। ফলে, ‘যুদ্ধ’ নিয়ে যে রাজনীতি করা হচ্ছে, তা একপ্রকার স্বীকারই করে নিচ্ছে গেরুয়া শিবির।
ভোটের সময় দল কীভাবে চলবে, কী স্ট্র্যাটেজি নেবে— গতকাল জাতীয় গ্রন্থাগারে হওয়া বৈঠকে তা নিয়েই আলোচোনা হয়। সেখানে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সর্বত্র দেশের মানুষ দেশপ্রেমের জোয়ারে ভাসছেন। এবার রাজনীতিতে দেশপ্রেমের প্রভাব পড়বে। রাজনীতিতে দেশের যে কোনও ঘটনার প্রভাব পড়ে।’ আবার কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন,‘১৯৭১-এ ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তখনও রাজনীতিতে প্রভাব পড়েছিল।’
কর্মীদের উদ্দেশ্যে কৈলাস বলেন, ‘ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে দেখবেন কতজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করছেন। আপনারা মনটাকে বড় করুন। এখানে আপনারা যাঁরা আছেন, তাঁরা দলের ক্রিম। এর বাইরেও অনেকে আছেন। তাঁরা দলে এলে বিজেপির সুবিধে। এঁদের জায়গা করে দেবেন, যাঁরা সভায় আসেননি, তাঁদের কাছেও এই বার্তা পৌঁছে দেবেন।’