ফাল্গুন মাসে এই অকালবর্ষায় রাজ্যে চাষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। টানা তিন-চারদিন প্রবল বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেছে। জমিতে জল জমে যাওয়ার কারণে বিশেষ করে আলুচাষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি নিয়ে এবার রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকার। কৃষি দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী অনেক জেলায় সমীক্ষার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
মাটিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে আলু চাষে কতটা ক্ষতি হয়ছে তা খতিয়ে দেখতে ব্লকস্তরের কৃষি আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষকদেরও ব্লকের সহকারী কৃষি অধিকর্তার কাছে ক্ষতির কথা জানাতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার এইসব ক্ষতির হিসেব করে তারপর ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে মাঠ থেকে আলু উঠছে। এই টানা বৃষ্টিতে আলুর প্রবল ক্ষতি হবার সম্ভবনা আছে। ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ আকারও নিতে পারে। পেঁয়াজ চাষেও অনেক ক্ষতির আশঙ্কা আছে। গত চার-পাঁচ দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া প্রভৃতি জেলায় খুব বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সব্জি ও রবি শস্যের ক্ষতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন,“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় কৃষকের পাশে আছেন। তিনি কৃষকদের স্বার্থে কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করেছেন। যেখানে ১৮ লক্ষেরও বেশি কৃষক নাম নথিভুক্ত করেছেন”।
অতীতেও বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে সরকার। এবারও যদি ফসলের ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রেও সরকার সংশ্লিষ্ট কৃষকের পাশে দাঁড়াবে। তবে সহকারী কৃষি অধিকর্তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অতীতে প্রতিটি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ রয়েছে, চাষের ক্ষেত্রে কোনও কৃষকের যেন অসুবিধা না হয়। চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের সব রকম সাহায্য করতে হবে। বীজ দিয়ে, ফসল বিমা করে কৃষকের পাশে আছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী চাষের সুবিধার জন্য কৃষকবন্ধু প্রকল্পে দু’বার আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেছেন।