১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হওয়া জঙ্গী হামলার প্রত্যাঘাত, নাকি অন্য কোনও কারণ? ভারতীয় বায়ুসেনার পাকিস্তানের বালাকোটে গিয়ে বিমান হানার উদ্দেশ্য কী ছিল? র সেই অভিযানের ফলে সেখানে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি কত? জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গী প্রশিক্ষণ শিবিরে কতজন জঙ্গী খতম হয়েছে? এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সব তথ্য প্রকাশ করার পরামর্শ দিল সংসদীয় কমিটি।
পুলওয়ামা জঙ্গী হামলা পরবর্তী সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত জানতে শুক্রবার বিদেশ সচিব বিজয় গোখেল-সহ বিদেশ মন্ত্রকের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে তলব করেছিল সংসদের বিদেশ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি। এই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর। সূত্রের খবর, বৈঠকে গোখেল সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন। বিমান হানার বিবরণ দিয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা কত তা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা বলতে পারবেন বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন তিনি।
এরপরই সাংসদদের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক মহলে ভারতীয় বায়ুসেনার পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে অভূতপূর্ব এই অভিযানের কারণ বিশদে ব্যাখ্যা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বালাকোট অভিযানে জঙ্গী নিকেশের বিবরণ তুলে ধরার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অবশ্য পরে এ বিষয়ে বিশেষ কিছু জানাতে চাননি।
প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ হামলায় ৪০ জন সেনা জওয়ান শহীদ হন তারপর থেকে কীভাবে কী কী ঘটেছে, তার খুটিনাটি সংসদীয় কমিটির সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন বিদেশ সচিব গোখেল। আর বিদেশ সচিবকে সংসদীয় কমিটি বলেছে, ভারতীয় সেনার ওপর কাপুরুষোচিত হামলার পর পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে জঙ্গী প্রশিক্ষণ শিবির গুড়িয়ে দেওয়ার সুফল কী হতে পারে, তা সারা বিশ্বকে বলতে হবে।
পাশাপাশি এর ফলে কত জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে এবং বালাকোটের জঙ্গী শিবিরই বা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তুলে ধরা দরকার বলে মনে করে কমিটি। শশী থারুর ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিম, স্বপন দাশগুপ্ত। কমিটির মতে, এমনটা করা হলে আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকা বা সংগঠনগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না।