বাংলার হাল ধরার পর থেকেই সাধারণ মানুষের যে কোনও সমস্যার দিকে নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই কেটে গেল ডানকানস গ্রুপের উত্তরবঙ্গে থাকা ৬টি চা–বাগান নিয়ে চলতি জটিলতা। এই খবরে খুশির হাওয়া উত্তরের চা বলয়ে।
কলকাতায় নিউ সেক্রেটারিয়েট ভবনে রাজ্য শ্রম দপ্তরের উত্তরবঙ্গের জয়েন্ট লেবার কমিশনার চন্দন দাশগুপ্ত, ডানকানস গ্রুপের জে কে শাহ–সহ স্বীকৃত শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। চা–বাগান তৃণমূল মজদুর ইউনিয়নের অন্যতম নেতা মান্নালাল জৈন বলেন, ‘মঙ্গলবার ১টি, বুধবার ২টি বকেয়া বেতন দেবে ডানকানস। বাকি ৫টি বেতন এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট বেতনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। আমরা খুব ভালভাবে ডানকানসের সঙ্গে চুক্তি করেছি। আশা করছি, আগামীতে আর সমস্যা হবে না।
ডানকানস গ্রুপের বীরপাড়া, ধুমচিপাড়া, নাগেশ্বরী, কিলকট, গঙ্গারাম ও বাগরাকোট বাগানে ২ মাস ধরে ৬ হাজার চা–শ্রমিকের বেতন বন্ধ ছিল। বেতন দিতে অপারগ ৬টি চা–বাগান কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যান। নতুন করে ডানকানসের ৬ বাগানেই ২০১৫ সালের অন্ধকারময় স্মৃতিগুলি ঘুরেফিরে আসছিল শ্রমিকদের মধ্যে। বাগান ম্যানেজার না থাকায় কার্যত প্রতিটি বাগানকে অচল বলে ধরে নিয়েছিলেন চা শ্রমিকেরা। শুরু হয় আতঙ্ক। সব কটি বাগানে আন্দোলনও শুরু হয়। মূলত বকেয়া ৮টি বেতনের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। শুক্রবার এ নিয়ে কলকাতায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক সফল হয়।
বৈঠক সফল হওয়ার খবর বাগানে পৌঁছতেই অনেকটাই স্বস্তি পান চা–শ্রমিকরা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই ১ মাস বন্ধ থাকার পর খুলে যায় নাগরাকাটা ব্লকের গ্রাসমোড় চা–বাগানটি। বাগানের ম্যানেজার এ রাজন বলেন, ‘বাগানে কাজ শুরু হয়েছে। ১০০০–এর কাছাকাছি চা শ্রমিক রয়েছেন বাগানে। আশা করছি শ্রমিকরা যেভাবে বাগানের জন্য পরিশ্রম করেন, ধারাবাহিকভাবে সেই প্রক্রিয়া চললে ১ বছরের মধ্যে প্রচুর উন্নতি করতে পারব”। মমতার সরকার আবারও প্রমাণ করে দিল সাধারণ মানুষের পাশে সবসময় রয়েছে তারা।