উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ করলা সেতুর শিলান্যাস করলেন। জলপাইগুড়ির করলা ব্রিজ দোলনা সেতু নামেই পরিচিত। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মণ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ, সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ, পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু, চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতো, সংশ্লিষ্ট দফতরের পদস্থ কর্তা বরুণ রায় প্রমুখ।
মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনার পর একই ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বিভিন্ন জেলায় একের পর এক ব্রিজ পরিদর্শন করেছিল প্রসাশন৷ কোথাও কোনও ফাটল থাকলে সেই ব্রিজগুলিকে মেরামতির নির্দেশ দিচ্ছিল৷ তেমনি জলপাইগুড়ির করলা ব্রিজে দেখা দিয়েছিল ফাটল৷ এরপরই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, পুরসভা ও জেলা প্রশাসনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কালি পুজোর পর করলা ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে। এই সেতু তৈরি করতে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই সেতুর গুরুত্ব অনেক বেশি কারণ, সেতুর এক পাশে রয়েছে হাসপাতাল, টাউন ক্লাব সহ অন্যান্য সরকারি দফতর। আরেক পাশে সুনীতি বালা বালিকা বিদ্যালয়, সুন্ডেট হেলথ হোম-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “৫৪.৯ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য ৯ কোটি ৩৯ লক্ষ ২ হাজার ১৮৫ টাকা খরচ করা হবে। সেতুর নির্মাণ কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে এক ফরাসি সংস্থাকে। রাজ্যের মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে এই মডিউলার সেতু নির্মাণ করা হবে। জলপাইগুড়ির সার্বিক উন্নয়নের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর কাজ শুরু করেছে। জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাব, জলপাইগুড়ির বালা পাড়ায় পাইকারি মাছ বাজার, ট্রাক টার্মিনাস, দিনবাজার সহ শহরকে আলোয় সাজিয়ে তুলতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর কাজ করছে”।